মুম্বই: পাকিস্তান(Pakistan) থেকে পাঁচ বছর আগেই ফিরেছিলেন। কিন্তু, খোঁজ পাননি নিজের মা-বাবার। মূক-বধির মেয়েটি একলাই অনুসন্ধান চালিয়ে গেছেন। সঙ্গী বলতে মূক-বধির সংগঠনের কর্মীরা। তাঁদের নিয়েই হিল্লি-দিল্লি করছেন। তিনি গীতা(Geeta)।
মঙ্গলবার, তেলঙ্গনায় গোদাবরী নদীর তীরে বসর গ্রামের সঙ্গে নিজের শৈশবস্মৃতির মিল খুঁজে পান গীতা। একটি ছোট হাসপাতাল ও রেল স্টেশনও ছিল এমনটাই দাবি করেন গীতা। একদিন আগে, মহারাষ্ট্রের জালনাও তাঁর ‘আপন ঘর’ হয়ে উঠেছিল। এর মধ্যেই, মহারাষ্ট্র-তেলঙ্গনা সীমান্ত থেকে শুরু করে একাধিক স্থানে পরিবারের খোঁজ চালিয়েছেন তিনি। নিজের তিন সঙ্গীকে নিয়ে থেকেছেন ধর্মশালায়। ঘুরেছেন রেল স্টেশনে। স্থানীয় পুলিস প্রশাসনের সাহায্যে ঘেঁটে দেখেছেন নিখোঁজ মানুষের তালিকা।
আরও পড়ুন : মমতা লড়ুক, আমরাও লড়ব, বিজেপি বিরোধিতার প্রতিযোগিতা হোক: দীপঙ্কর ভট্টাচার্য
মূক-বধির গীতা(Geeta) ‘সমঝোতা এক্সপ্রেসে’ যাত্রার সময়ে ভুল করে পাকিস্তানের(Pakistan) মাটিতে নেমে পড়েন। তখন তাঁর বয়স আট। সেই থেকেই তিনি গৃহহীন, স্বজনহীন। পাকিস্তানের মাটিতে, করাচির একটি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার দৌলতে তাঁর নতুন নাম হয় ‘ফতেমা’। কিন্তু, কার্যত যখন দেখা যায় তিনি নমাজ পড়েন না, তখন তাঁর নাম বদলে রাখা হয় ‘গীতা’। বিভিন্ন সময়েই কুড়ি বছর আগের স্মৃতি হাতড়ে গীতা তাঁর বাড়ির গল্প করেন। শৈশবের গল্প করেন। সেই স্মৃতিই তাঁর ঘর খুঁজে পাওয়ার একমাত্র সম্বল।
আরও পড়ুন : মোদী-শাহের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ডলারের মামলা খারিজ করল মার্কিন আদালত
২০১৫ তে , প্রাক্তন প্রয়াত বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের তত্ত্বাবধানে দেশে ফেরেন গীতা। মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন স্বয়ং সুষমা স্বরাজ(Sushma Swaraj)। স্বজনহীন মূক-বধির এই মেয়েটিকে নিজের মেয়ে বলেই পরিচয় দিতেন সুষমা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও সান্নিধ্য লাভ করেন গীতা। মা-বাবা নেই। তাই গীতার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন স্বয়ং বিদেশমন্ত্রী। ২০১৮তে, আয়োজন করা হয়েছিল গীতার স্বয়ংবরের।‘কন্যাসম্প্রদানের’ দায়িত্বে ছিলেন স্বয়ং সুষমা(Sushma Swaraj)। কিন্তু, বিয়েতে নারাজ গীতা। আগে পরিবারকেই খুঁজে পেতে চান গীতা।
চলতি বছরে, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে তেলেঙ্গনা সীমান্ত জুড়ে নিজের পরিবারের খোঁজ করছেন গীতা। তাঁকে সবরকম সাহায্যের জন্য মধ্য প্রদেশের ডিজিপি ইতিমধ্যেই লিখিত আবেদন করেছেন সমস্ত রাজ্যের প্রশাসনকে।
১২ ডিসেম্বর, জ্ঞানেন্দ্র পুরোহিতের সঙ্গে গীতা পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান।‘সমঝোতা এক্সপ্রেস’-এও চড়েন। কিন্তু, তাঁর স্মৃতিতে রাস্তার কোনও ছবি নেই। নদীর ধারে একটি ছোট গ্রাম, একটা মন্দির, রেল স্টেশনের ধারে একটি ছোট হাসপাতাল, বাড়িতে পাঁচ ভাইবোন ও গীতা। স্মৃতি বলতে এটুকুই। আইনজীবী জ্ঞানেন্দ্র পুরোহিতের দাবি, গীতা ডানদিকে নাকছাবি পরেন। যা মূলত মধ্য প্রদেশের মহিলাদের মধ্যেই সচরাচর দেখা যায়।পাশাপাশি, গীতার স্মৃতিভ্রংশের ছবির সঙ্গে মধ্য প্রদেশের কিছু এলাকার সাদৃশ্য আছে। সেইভাবেই চলছে অনুসন্ধান।
আরও পড়ুন : উত্তর প্রদেশে নয়া প্রতিদ্বন্দ্বী আপ, ২০২২-র নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা কেজরীবালের
বুধবার, নাসিকে নিয়ে যাওয়া হবে গীতাকে। সেখানে একটি পরিবারের দাবি, গীতা তাঁদেরই হারানো মেয়ে। হবে ডি-এন-এ পরীক্ষাও। প্রসঙ্গত, গীতার মা-বাবাকে খুঁজে পেতে একটি ভিডিয়োতে সুষমা স্বরাজ নিজে বলেছিলেন, গীতার মা-বাবা মেয়েকে ফিরিয়ে নিলে ১ লক্ষ টাকা অনুদান পাবেন।
তারপরেই অনেকে গীতার পরিবার দাবি করেছেন। সেই দাবি এখনও বিদ্যমান। ‘ভাইজান’-এর ‘মুন্নি’ তো নিজের পরিবারকে খুঁজে পেয়েছিল। গীতা কি পারবে? এত বড় দেশে নিজের চিহ্ন খুঁজে বের করতে? হয়ত পারবে। সেই হিম্মত-ই যে গীতার সম্বল।
মুম্বই: পাকিস্তান(Pakistan) থেকে পাঁচ বছর আগেই ফিরেছিলেন। কিন্তু, খোঁজ পাননি নিজের মা-বাবার। মূক-বধির মেয়েটি একলাই অনুসন্ধান চালিয়ে গেছেন। সঙ্গী বলতে মূক-বধির সংগঠনের কর্মীরা। তাঁদের নিয়েই হিল্লি-দিল্লি করছেন। তিনি গীতা(Geeta)।
মঙ্গলবার, তেলঙ্গনায় গোদাবরী নদীর তীরে বসর গ্রামের সঙ্গে নিজের শৈশবস্মৃতির মিল খুঁজে পান গীতা। একটি ছোট হাসপাতাল ও রেল স্টেশনও ছিল এমনটাই দাবি করেন গীতা। একদিন আগে, মহারাষ্ট্রের জালনাও তাঁর ‘আপন ঘর’ হয়ে উঠেছিল। এর মধ্যেই, মহারাষ্ট্র-তেলঙ্গনা সীমান্ত থেকে শুরু করে একাধিক স্থানে পরিবারের খোঁজ চালিয়েছেন তিনি। নিজের তিন সঙ্গীকে নিয়ে থেকেছেন ধর্মশালায়। ঘুরেছেন রেল স্টেশনে। স্থানীয় পুলিস প্রশাসনের সাহায্যে ঘেঁটে দেখেছেন নিখোঁজ মানুষের তালিকা।
আরও পড়ুন : মমতা লড়ুক, আমরাও লড়ব, বিজেপি বিরোধিতার প্রতিযোগিতা হোক: দীপঙ্কর ভট্টাচার্য
মূক-বধির গীতা(Geeta) ‘সমঝোতা এক্সপ্রেসে’ যাত্রার সময়ে ভুল করে পাকিস্তানের(Pakistan) মাটিতে নেমে পড়েন। তখন তাঁর বয়স আট। সেই থেকেই তিনি গৃহহীন, স্বজনহীন। পাকিস্তানের মাটিতে, করাচির একটি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার দৌলতে তাঁর নতুন নাম হয় ‘ফতেমা’। কিন্তু, কার্যত যখন দেখা যায় তিনি নমাজ পড়েন না, তখন তাঁর নাম বদলে রাখা হয় ‘গীতা’। বিভিন্ন সময়েই কুড়ি বছর আগের স্মৃতি হাতড়ে গীতা তাঁর বাড়ির গল্প করেন। শৈশবের গল্প করেন। সেই স্মৃতিই তাঁর ঘর খুঁজে পাওয়ার একমাত্র সম্বল।
আরও পড়ুন : মোদী-শাহের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ডলারের মামলা খারিজ করল মার্কিন আদালত
২০১৫ তে , প্রাক্তন প্রয়াত বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের তত্ত্বাবধানে দেশে ফেরেন গীতা। মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন স্বয়ং সুষমা স্বরাজ(Sushma Swaraj)। স্বজনহীন মূক-বধির এই মেয়েটিকে নিজের মেয়ে বলেই পরিচয় দিতেন সুষমা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও সান্নিধ্য লাভ করেন গীতা। মা-বাবা নেই। তাই গীতার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন স্বয়ং বিদেশমন্ত্রী। ২০১৮তে, আয়োজন করা হয়েছিল গীতার স্বয়ংবরের।‘কন্যাসম্প্রদানের’ দায়িত্বে ছিলেন স্বয়ং সুষমা(Sushma Swaraj)। কিন্তু, বিয়েতে নারাজ গীতা। আগে পরিবারকেই খুঁজে পেতে চান গীতা।
চলতি বছরে, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে তেলেঙ্গনা সীমান্ত জুড়ে নিজের পরিবারের খোঁজ করছেন গীতা। তাঁকে সবরকম সাহায্যের জন্য মধ্য প্রদেশের ডিজিপি ইতিমধ্যেই লিখিত আবেদন করেছেন সমস্ত রাজ্যের প্রশাসনকে।
১২ ডিসেম্বর, জ্ঞানেন্দ্র পুরোহিতের সঙ্গে গীতা পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান।‘সমঝোতা এক্সপ্রেস’-এও চড়েন। কিন্তু, তাঁর স্মৃতিতে রাস্তার কোনও ছবি নেই। নদীর ধারে একটি ছোট গ্রাম, একটা মন্দির, রেল স্টেশনের ধারে একটি ছোট হাসপাতাল, বাড়িতে পাঁচ ভাইবোন ও গীতা। স্মৃতি বলতে এটুকুই। আইনজীবী জ্ঞানেন্দ্র পুরোহিতের দাবি, গীতা ডানদিকে নাকছাবি পরেন। যা মূলত মধ্য প্রদেশের মহিলাদের মধ্যেই সচরাচর দেখা যায়।পাশাপাশি, গীতার স্মৃতিভ্রংশের ছবির সঙ্গে মধ্য প্রদেশের কিছু এলাকার সাদৃশ্য আছে। সেইভাবেই চলছে অনুসন্ধান।
আরও পড়ুন : উত্তর প্রদেশে নয়া প্রতিদ্বন্দ্বী আপ, ২০২২-র নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা কেজরীবালের
বুধবার, নাসিকে নিয়ে যাওয়া হবে গীতাকে। সেখানে একটি পরিবারের দাবি, গীতা তাঁদেরই হারানো মেয়ে। হবে ডি-এন-এ পরীক্ষাও। প্রসঙ্গত, গীতার মা-বাবাকে খুঁজে পেতে একটি ভিডিয়োতে সুষমা স্বরাজ নিজে বলেছিলেন, গীতার মা-বাবা মেয়েকে ফিরিয়ে নিলে ১ লক্ষ টাকা অনুদান পাবেন।
তারপরেই অনেকে গীতার পরিবার দাবি করেছেন। সেই দাবি এখনও বিদ্যমান। ‘ভাইজান’-এর ‘মুন্নি’ তো নিজের পরিবারকে খুঁজে পেয়েছিল। গীতা কি পারবে? এত বড় দেশে নিজের চিহ্ন খুঁজে বের করতে? হয়ত পারবে। সেই হিম্মত-ই যে গীতার সম্বল।