করোনা আক্রান্ত প্রায় ১ লাখ রেলকর্মী, যাত্রী পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Apr 24, 2021 | 7:31 AM

বর্তমানে ৯৩ হাজারেরও বেশি রেলকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য মোট ৭২টি রেলের হাসপাতালকে করোনার চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ৫ হাজারেরও বেশি শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে।

করোনা আক্রান্ত প্রায় ১ লাখ রেলকর্মী, যাত্রী পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ
লকডাউনের ভয়ে ঘরে ফিরছেন পরীযায়ীরা। ভিড় বাড়ছে ট্রেনে। ছবি:PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: করোনার থাবা এ বার রেলেও। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে একদিকে যখন লকডাউনের ভয়ে পরিযায়ীরা বাড়ির পথে পা বাড়িয়েছে, সেই সময়ই দ্রুতগতিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রেলকর্মীদের সংখ্যা। ভারতীয় রেলকর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত কয়েক সপ্তাহেই ৯৩ হাজারেরও বেশি রেল কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

সংক্রমণের মাঝে কেবল যাত্রী পরিবহন নয়, দেশের অক্সিজেন ঘাটতি মেটাতেও চালানো হচ্ছে বিশেষ অক্সিজেন এক্সপ্রেস। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ লাখ কর্মচারীর মধ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় ১ লাখ কর্মচারী করোনা আক্রান্ত। এদের মধ্যে অধিকাংশই যাত্রীদের সংস্পর্শে আসেন প্রতিদিন।

এই বিষয়ে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও সুনীত শর্মা বলেন, “বর্তমানে ৯৩ হাজারেরও বেশি রেলকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সকলেরই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ট্রেনের চালক, গার্ড, স্টেশন মাস্টার থেকে শুরু করে ঠিকা কর্মী, সমস্ত কর্মচারীদের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আপাতত মোট ৭২টি রেলের হাসপাতালকে করোনার চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ৫ হাজারেরও বেশি শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে এত সংখ্যক কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পরিষেবা সম্পূর্ণ রূপে সচল রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে।”

সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে দৈনিক ১৭ হাজার যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করছে। এত সংখ্যক ট্রেন চালানোর জন্য দৈনিক তিন লাখ কর্মচারীর প্রয়োজন। এদিকে, গ্রীষ্মকালীন কিছু অতিরিক্ত ট্রেন ও নতুন সংযোজিত অক্সিজেন ট্রেন চালানোর জন্যও অভিজ্ঞ রেলকর্মচারীর প্রয়োজন পড়ছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে একদিকে যেমন মালবাহী ট্রেনগুলির গতি বাড়ানো হয়েছে, পাশাপাশি এক রাজ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে অন্যান্য রাজ্যেও রেলকর্মীদের পাঠানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: করোনা মৃত্যুতেও রেকর্ড গড়ল মহারাষ্ট্র, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৭৭৩, আক্রান্ত ৬৬ হাজারেরও বেশি

Next Article