PM SVANidhi: ‘পিএম স্বনিধি’ নিয়ে SBI-এর রিপোর্ট, কতটা আত্মনির্ভর রাস্তার হকাররা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Oct 24, 2023 | 9:47 PM

PM SVANIDHI: এই প্রকল্পের অধীনে তিনটি কিস্তিতে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। এসবিআই-এর এই বিশেষ রিপোর্টটি তৈরি করেছেন তথ্য বিশ্লেষক সৌম্যকান্তি ঘোষ। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর), সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, পিএম স্ট্রিট ভেন্ডর্স আত্মনির্ভরনিধি প্রকল্প কীভাবে ভারতীয় সমাজে প্রভাব ফেলেছে, তার স্পষ্ট চিত্র ধরা পড়েছে এই গবেষণায়।

PM SVANidhi: পিএম স্বনিধি নিয়ে SBI-এর রিপোর্ট, কতটা আত্মনির্ভর রাস্তার হকাররা?
স্বনিধি প্রকল্পের উপকার পাচ্ছেন ভারতের রাস্তার বিক্রেতারা
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি: রাস্তার হকারদের সুবিধার্থে, চালু করা হয়েছিল পিএম স্ট্রিট ভেন্ডর্স আত্মনির্ভরনিধি প্রকল্প (PM SVANidhi), বা ছোট করে পিএম স্বনিধি প্রকল্প। এসবিআই-এর এক বিশেষ রিপোর্ট অনুসারে, এই প্রকল্পের অধীনে মোট ঋণের ৪৩ শতাংশই পেয়েছেন ভারতের মহিলা ক্ষুদ্র-উদ্যোগপতিরা। আর বাকি ৫৭ শতাংশ ঋণ গ্রহণ করেছেন পুরুষরা। ২০২০ সালের ১ জুন কোভিড মহামারী চলাকালীন এই প্রকল্প চালু করেছিল মোদী সরকার। শহরের রাস্তায় যে সকল হকাররা ব্যবসা করেন, তাদের জন্যই এই ক্ষুদ্র-ঋণ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে তিনটি কিস্তিতে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। এসবিআই-এর এই বিশেষ রিপোর্টটি তৈরি করেছেন তথ্য বিশ্লেষক সৌম্যকান্তি ঘোষ। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর), সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, পিএম স্ট্রিট ভেন্ডর্স আত্মনির্ভরনিধি প্রকল্প কীভাবে ভারতীয় সমাজে প্রভাব ফেলেছে, তার স্পষ্ট চিত্র ধরা পড়েছে এই গবেষণায়। তিনি আরও জানান, প্রকল্পটি কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং কীভাবে মহিলাদের আর্থিকভাবে ক্ষমতায়িত করে, তাও ধরা পড়েছে এই রিপোর্টে।

এসবিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে আজ পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৭০ লক্ষ ঋণের আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। এর ফলে, উপকৃত হয়েছেন ৫৩ লক্ষের বেশি হকার। আর অর্থমূল্যে ঋণদানের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৯,১০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে তিনটি কিস্তিতে ঋণ দেওয়া হয়। প্রথম কিস্তিতে ১০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় কিস্তিতে ২০,০০০ টাকা এবং তৃতীয় কিস্তিতে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। এসবিআই-এর রিপোর্ট থেকে আরও জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের অধীনে যাঁরা ঋণ নিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৬৫ শতাংশেরই বয়স ২৬ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। আর সবথেকে বেশি ঋণ পেয়েছেন বারাণসীর ব্যবসায়ীরা। এরপরে রয়েছে বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং প্রয়াগরাজের ব্যবসায়ীরা।


এই প্রকল্পের ঋণদাতা হিসেবে সরকারি ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে, সবার আগে আছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। এই স্কিমের অধীনে মোট যে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তার ৩১ শতাংশই এসেছে এসবিআই-এর ঘর থেকে। এরপর তালিকায় রয়েছে ব্যাঙ্ক অব বরোদা। তারাও মোটামুটিভাবে মোট ঋণদানের ৩১ শতাংশ দিয়েছে। এছাড়া, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ১০ শতাংশ এবং পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ৮ শতাংশ ঋণ দিয়েছে। এই প্রকল্প চালুর সময়, কেন্দ্র সবার আগে অন্তত ৫০ লক্ষ স্ট্রিট ভেন্ডরকে প্রথম কিস্তির ১০,০০০ টাকা করে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছিল। এই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়েছিল মোদী সরকার। ১০৬ শতাংশ লক্ষ্য অর্জন করেছিল সরকার। এই চাহিদা দেখে পরবর্তী লক্ষ্য নেওয়া হয় ৬৩ লক্ষ স্ট্রিট ভেন্ডরকে ঋণ দেওয়ার। এরপর আবার কেন্দ্র ২০২৩-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের অধীনে ৮৮.৫ ঋণ বিতরণের জন্য।

Next Article