Bullet Train: ভারতে শীঘ্রই আসছে জাপানি প্রযুক্তিতে নির্মিত হাইস্পিড বুলেট ট্রেন
Bullet Train: NHRCL-এর এক মুখপাত্র জানান, জাপানি প্রযুক্তিতে E5 সিরিজ শিনকানসেন ট্রেনের (বুলেট ট্রেন) কোচগুলি বিশেষভাবে তৈরি। যাতে ভারতের গরম আবহাওয়া এবং ধুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে পারে। ট্রেনগুলিতে ১০টি কোচ থাকবে এবং ৬৯০ জন যাত্রী ধারণ করতে পারবে।
নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর থেকেই জাপানের মতো ভারতে সুপারফার্স্ট, বুলেট ট্রেন (Bullet Train) চালু করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। এবার তাঁর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। শীঘ্রই আসতে চলেছে জাপানি প্রযুক্তিতে (Japanese Technology) নির্মিত সুপারফার্স্ট বুলেট ট্রেন। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য পরিকাঠামো, করিডর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৭ সালেই ছুটবে বুলেট ট্রেন।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত সুপারফার্স্ট ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ইতিমধ্যে গোটা দেশের বিভিন্ন রুটে চালু হয়েছে। এবার আসতে চলেছে আরও এক সুপারফার্স্ট ট্রেন, বুলেট ট্রেন। তবে এটা সম্পূর্ণ জাপানি প্রযুক্তিতে নির্মিত। আহমেদাবাদ ও মুম্বই রুটে প্রথম বুলেট ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেই মোতাবেক গুজরাটে একাধিক রেলসেতু সহ বুলেট ট্রেনের করিডর তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ২০২৭ সালের মধ্যেই আহমেদাবাদ-মুম্বই রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (JICA) সঙ্গেই বুলেট ট্রেন চালানোর চুক্তি করেছে ভারত। JICA-এর অধীনে দুটি জাপানি সংস্থা হিটাচি রেল ও কাওয়াসাকি ভারী শিল্প ভারতের জন্য বুলেট ট্রেন তৈরির বরাত নিয়েছে। আর বুলেট ট্রেনের পরিকাঠামো সহ পুরো কাজটির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (NHRCL)। NHRCL-এর এক মুখপাত্র জানান, জাপানি প্রযুক্তিতে E5 সিরিজ শিনকানসেন ট্রেনের (বুলেট ট্রেন) কোচগুলি বিশেষভাবে তৈরি। যাতে ভারতের গরম আবহাওয়া এবং ধুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে পারে। শিনকানসেন ট্রেনগুলিতে ১০টি কোচ থাকবে এবং ৬৯০ জন যাত্রী ধারণ করতে পারবে। ট্রেনটির গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার। মুম্বই-আহমেদাবাদ হাইস্পিড এই রেল প্রোজেক্টের জন্য এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, বুধবার আহমেদাবাদের সবরমতি পরিবহণ হাব পরিদর্শনে যান জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জাপান-ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইয়োশিহিদে সুগা। মূলত বুলেট ট্রেন চালানোর পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে আসেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন NHRCL-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত। বুলেট ট্রেন করিডর পরিদর্শনের পরই ২০২৭ সালের মধ্যে হাইস্পিড এই ট্রেন চালানোর সম্ভাবনার কথা জানায় NHRCL।