ইন্দোর: মহাভারতে ইচ্ছমৃত্যুর বরদান পেয়েছিলেন ভীষ্ম। আধুনিক ভারতে এও যেন এক ইচ্ছামৃত্যু। মাত্র ৩০ বছর বয়সে নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন মধ্য প্রদেশের ইন্দোর শহরের এক হোটেল মালিক, আদিত্য শর্মা। তিনি লিখে গিয়েছেন একটি সাত পৃষ্ঠার দীর্ঘ সুইসাইড নোট। তবে নোটটি মৃত্যুর ঠিক আগে নয়, অন্তত ৮-৯ বছর আগে লেখা। সেই নোট অনুযায়ী, দীর্ঘদিন আগেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন, ৩০ বছর বয়স পর্যন্তই বাঁচবেন, তার বেশি নয়।
এই আশ্চর্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর)। ইন্দোরের হীরা নগর এলাকায় থাকতেন তিনি। বিয়ে করেননি। নিজের বাড়িতেই একটি পিস্তল দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করেন আদিত্য। পুলিশ জানিয়েছে, “হীরা নগর এলাকার বাড়িতে ওই ব্যক্তির রক্তে ভেজা দেহ পাওয়া গেছে। আত্মরক্ষার জন্য ২০১৬ সালে তিনি একটি পিস্তলটি কিনেছিলেন, সেটি তাঁর দেহের পাশেই পড়ে ছিল। আর পাওযা গিয়েছে একটি সুইসাইড নোট। তাতে, তিনি লিখেছেন, তিনি নিজেই তাঁর জীবন শেষ করছেন। এর জন্য অন্য কেউ দায়ী নয়।”
পুলিশ কর্তারা আর জানিয়েছেন, সাত পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটটি হিন্দিতে লেখা। সুইসাইড নোটের বিষয়বস্তু থেকে পুলিশ কর্তাদের অনুমান, আদিত্য মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগছিলেন। নোটটিতে তিনি লিখেছেন, আট-নয় বছর আগেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তিনি ৩০ বছর পর্যন্তই বাঁচবেন। যদিও তাঁর জীবনে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, তাঁর পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে তার মায়ের মৃত্যু ঘটছে, তা দেখার আগেই তিনি পৃথিবী থেকে চলে যেতে চান।
আরও জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে নিহত পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার কথাও উল্লেখ করেছেন আদিত্য। তিনি সিধু মুসেওয়ালার বড় ভক্ত ছিলেন। সুইসাইড নোটে তার নাম উল্লেখ করে আদিত্য লিখেছেন, প্রয়াত শিল্পীকে তিনি মিস করবেন। আট-নয় বছর আগে লেখা নোটটি। তাই তখনও সিধুর মৃত্যু হয়নি।