Kozhikode Crash: পাইলটের গাফিলতিতেই কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনা, প্রকাশ পেল ২৫৭ পাতার রিপোর্টে

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Sep 12, 2021 | 12:17 AM

Kozhikode Crash: কেরলে অবতরণ করা বিমান নিয়ে ২৫৭ পাতার একটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে কেন্দ্রের দুর্ঘটনা অনুসন্ধানকারী ব্যুরোর পক্ষ থেকে।

Kozhikode Crash: পাইলটের গাফিলতিতেই কোঝিকোড়ে বিমান দুর্ঘটনা, প্রকাশ পেল ২৫৭ পাতার রিপোর্টে
এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২১ জনের। যাদের মধ্যে ১৯ জন যাত্রী ছিলেন, এবং বাকি দুজন পাইলট।

Follow Us

নয়া দিল্লি: পাইলটের ভুলেই গত বছর কেরলের কোঝিকোড় বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২১ জন যাত্রীর। শনিবার সরকারি একটি রিপোর্টে এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বিমান চালক স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করেননি। যে কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল।

গত এক দশকে দেশে যত ধরনের বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল গত বছর কোঝিকোড়ে ঘটা এই দুর্ঘটনা। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দুবাই থেকে কেরলে অবতরণ করা বিমান নিয়ে ২৫৭ পাতার একটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে কেন্দ্রের দুর্ঘটনা অনুসন্ধানকারী ব্যুরোর পক্ষ থেকে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, “দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ ছিল পাইলট অবতরণ করার সময় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করেননি। অবতরণের পূর্ববর্তী সময় পাইলট ক্রমাগত অস্থিতিশীল অবস্থা বজায় রেখেছিলেন। রানওয়েতে অর্ধেক রাস্তা পেরিয়ে যাওয়ার পর ‘গো এরাউন্ড’ সতর্কতার পরও পাইলট এগিয়ে যান। পাইলটের গাফিলতিতেই বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসে।”

‘গো এরাউন্ড’ পদ্ধতি হচ্ছে এমন এক ধরনের সতর্কীকরণ যা রায়ওয়েতে টাচডাউনের আগে বা পরে দেওয়া হয়। যদি কোনও ক্ষেত্রে পাইলট বুঝতে পারেন যে অবতরণ সুরক্ষিত নয়, তখন ‘গো এরাউন্ড’ বলে অবতরণের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। এ ক্ষেত্রে ‘গো এরাউন্ড’ সতর্কীকরণের পরও রানওয়েতে এগিয়ে গিয়েছিলেন পাইলট। যার জেরে এই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধীনে থাকা তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত সমস্যার বিষয়টিও কোনও ভাবে এড়িয়ে যাওয়া যায় না।

‘বন্দে ভারত’ মিশনের আওতায় গত বছর ৭ অগস্ট দুবাই থেকে কেরলের কোঝিকোড়ে ফিরে আসা এই বিমানে ১৮৪ জন ভারতীয় যাত্রী ছিলেন। যাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল। যে সময় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি কোঝিকোড় বিমানবন্দরের টেবলটপ রানওয়েতে অবতরণ করে, তখন আবহাওয়া ছিল দুর্গম। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই বিমানটি অবতরণ করে। কিন্তু রানওয়ে ছাড়িয়ে তা খাদে পড়ে যায়। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২১ জনের। যাদের মধ্যে ১৯ জন যাত্রী ছিলেন, এবং বাকি দুজন পাইলট।

আরও পড়ুন: Gujarat CM Resign: বিদায় নিলেন রূপাণী, গুজরাটের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? সম্ভাবনায় ৪-৫ টি নাম

এই দুর্ঘটনার পর জানা যায়, খারাপ আবহাওয়ার কারণে দু’বার অবতরণের চেষ্টার পরও তা সফল হয়নি। কিন্তু অন্যত্র উড়ে না গিয়ে তৃতীয়বারের চেষ্টায় অবতরণ করেন পাইলট। কিন্তু ঘন মেঘের কারণে সেই অবতরণ যে রানওয়ে অনেকটা ছাড়িয়ে গিয়ে হয়েছিল, তা বুঝতে পারেননি পাইলট। বৃষ্টিতে রানওয়ে ভিজে থাকার কারণে ব্রেকও ঠিকমতো কাজ করেনি। ফলস্বরূপ এই দশকের অন্যতম বড় যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয়েছিল দেশকে।

আরও পড়ুন: Mukul Roy: উধাও মুকুলের নেমপ্লেট, রাজধানীর ১৮১ নম্বর সাউথ অ্যাভিনিউতে যেন শ্মশানের নীরবতা

Next Article