AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anu Malik: অনু মালিকের জন্য ইজরায়েলের কাছে ক্ষমা চাইলেন ভারতীয় নেটিজেনরা

Anu Malik: সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি জনপ্রিয় এই বলিউডি গানটি পোস্ট করেছেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন। আর তারপরই ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া সেই গান ফের ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনদের অনেকে এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রেক্ষিতে ক্ষমা চাইলেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতের কাছে।

Anu Malik: অনু মালিকের জন্য ইজরায়েলের কাছে ক্ষমা চাইলেন ভারতীয় নেটিজেনরা
অনু মালিকের গান শেয়ার করলেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2023 | 3:02 PM
Share

নয়া দিল্লি: ১৯৯৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল অজয় দেবগন অভিনিত বলিউডি ফিল্ম, ‘দিলজলে’। এই ফিল্মের জন্য ‘মেরা মুলক মেরা দেশ’ নামে একটি দেশাত্মবোধক গান গান রচনা করেছিলেন গায়ক-সুরকার অনু মালিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি জনপ্রিয় এই বলিউডি গানটি পোস্ট করেছেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন। আর তারপরই ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া সেই গান ফের ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনদের অনেকে এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রেক্ষিতে ক্ষমা চাইলেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতের কাছে। কেন হঠাৎ ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে বলিউডি গান পোস্ট করলেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত? কেন সেই পোস্ট ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়? কেনই বা কিছু কিছু ভারতীয় তার জন্য ক্ষমা চাইলেন ইজরায়েলের কাছে? আসুন জেনে নেওয়া যাক পুরো বিষয়টা।

গত সোমবার (২৩ অক্টোবর), ভারত ও ইজরায়েলের পতাকার অ্যানিমেটেড ভিডিয়োর সঙ্গে গানটি শেয়ার করেন। তিনি জানান, এই বলিউডি গানটি প্রায় ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীতের মতো শুনতে। দুটি গানের সুরের মধ্যে আশ্চর্য মিল রয়েছে বলে জানান তিনি। ক্যাপশনে গিলন লেখেন, “আজ আমি একটি সুন্দর ভারতীয় দেশাত্মবোধক সুর খুঁজে পেয়েছি। সুরটি আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছে। আমি জানি, গানটির ছন্দের এবং সুরের সঙ্গে ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত ‘হাতিকভাহ’-এর সঙ্গে অস্বাভাবিক সাদৃশ্য রয়েছে। তবে, আসল হচ্ছে গানটির কথা। আমার দেশ, আমার জন্মভূমি, আমার এই মাতৃভূমি, শান্তি, অগ্রগতি এবং ভালবাসার পথ – এই কথাগুলি আমার হৃদয়ে আশা এবং ঐক্যের আলোর মতো অনুরণিত হচ্ছে।”

বস্তুত, এর আগেই ইজরায়েলি জাতীয় সঙ্গীতের ‘সুর চুরি করা’র অভিযোগ উঠেছিল অনু মালিকের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে টোকিয়ো অলিম্পিকে ইজরায়েলের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে জিমন্যাস্টিক্সে সোনা জিতেছিলেন আর্টেম দোলগোপিয়াত। সেই সময় ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত বেজে উঠতেই ভারতীয় নেটিজেনদের মনে হয়েছিল, যেন ‘দিলজলে’র ‘মেরা মুল্ক মেরা দেশ’ বাজছে। সেই সময়ই ইজরায়েলি জাতীয় সঙ্গীতের সুর চুরির অভিযোগ উঠেছিল অনু মালিকের বিরুদ্ধে। এবার, ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পর ফের একবার সেই একই অভিযোগ উঠছে অনু মালিকের বিরুদ্ধে। গিলনের পোস্টে প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই সুরকার-গায়কের নিন্দা করেছেন। অনু মালিকের হয়ে ইজরায়েলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অনেকে আবার, ইজরায়েলের প্রতি সংহতি এবং শান্তির বার্তা দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার বলেছেন, এই গানে যে শান্তি, অগ্রগতি এবং সম্প্রীতির কথা বলা হয়েছে, সেটা ভারত এবং ইজরায়েল দুই দেশেরই সাধারণ মূল্যবোধ।

ইজরায়েলি জাতীয় সঙ্গীতের ইতিহাস

খ্রিস্টান এবং ইহুদি আন্তর্জাতিক ফেলোশিপ অনুসারে, ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত ‘হাতিকভাহ’ রচনা করেছিলেন নাফতালি হার্জ ইম্বার নামে এক তরুণ ইহুদি কবি। ইউক্রেনের জোলোচিভ শহরে বাস করলেও, তিনি স্বপ্ন দেখতেন একদিন ‘আলিয়া’ বা ইহুদিদের পবিত্র ভূমিতে যাওয়ার। ১৮৭৮ সালে তিনি তাঁর সেই স্বপ্ন বিষয়ে, ‘টিকভাতেনু’, অর্থাৎ, ‘আমাদের আশা’ নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন। পরে, সেই পবিত্রভূমি প্যালেস্টাইনে হবে বলে ঠিক করেছিল ইহুদিরা। এক হিব্রু শিক্ষক ইম্বারের কবিতার শিরোনাম পরিবর্তন করে, ‘হাতিকভাহ’ দিয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে ইজরায়েল রাষ্ট্র গঠনের পর থেকে হাতিকভা-র প্রথম স্তবকটি ইজরায়েলি জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গাওয়া হয়।