বেঙ্গালুরু: চন্দ্রযানের সাফল্যের পর সূর্য স্পর্শ করার ক্ষেত্রেও সাফল্য পেল ইসরো। ১২৫ দিনের বেশি সময় ধরে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে অবশেষে সূর্য-পৃথিবী ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট ১ বা এল১ পয়েন্টের হ্যালো কক্ষপথে প্রতিস্থাপিত হয়েছে ইসরো-র মহাকাশ যান আদিত্য এল-১। যা নিয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তবে এটা কেবল ভারতের সাফল্য নয়, গোটা বিশ্বের সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ।
শনিবার আদিত্য এল-১-এর নির্দিষ্ট গন্তব্যে প্রতিস্থাপনের পর ইসরো চেয়ারম্যান বলেন, “সৌর মিশন, আদিত্য-এল১ কেবল ভারতের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের। সূর্য সম্পর্কে আমাদের সকল বিজ্ঞানীদের ভাবনা বুঝতে এটি সাহায্য করবে।”
আদিত্য-এল১ -এর নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোর পথ খুব একটা সহজ ছিল না। ইসরো চেয়ারম্যান জানান, এই সৌরযান মহাকাশে সুনির্দিষ্ট হ্যালো কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করার জন্য বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকবার সেটির গতিবিধি সংশোধন করেছিলেন। হ্যালো অরবিট সম্পর্কে তিনি বলেন, “হ্যালো অরবিট হল একটি কক্ষপথ, যা L1 বিন্দুর চারদিকে ঘোরে। যার আকার একটি ডিমের মতো।” কক্ষপথ থেকে মহাকাশযানের পরিমাপ, গতিবেগ- সবকিছুর গাণিতিকভাবে সুক্ষ্ম বিশ্লেষণ করে আদিত্য এল১ নির্দিষ্ট বিন্দুতে বসানো হয়েছে বলেও জানান এস সোমনাথ।
আদিত্য এল-১ -এর সাফল্যের জন্য এদিন ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে তাঁদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন, “আরও এক মাইলফলক তৈরি করল ভারত। গন্তব্যে পৌঁছল ভারতের প্রথম সৌর মানমন্দির আদিত্য-এল ১। সবথেকে জটিল এবং খটমট মহাকাশ অভিযান সফল করতে, আমাদের বিজ্ঞানীদের নিষ্ঠা এবং নিরলস প্রচেষ্টার প্রমাণ এটা।”
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সূর্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় আদিত্য এল-১। বর্তমানে যেখানে সেটি প্রতিস্থাপন করা হল সেখান থেকে সূর্যের স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাবে এবং সূর্য সম্পর্কিত গবেষণার কাজ সহজ হবে বলে ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।