নয়া দিল্লি: ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রামীন ভারতের প্রতি ঘরে ঘরে নলের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। আর এই লক্ষ্য়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল জল শক্তি মন্ত্রক। বুধবার মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় ১১ কোটি ঘরে নলের মাধ্যমে পরিশ্রুত জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই সাফল্যের জন্য মন্ত্রককে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে এই উদ্যোগে উপকৃত সকল পরিবারকে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি, এই প্রকল্পকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে যে সকল কর্মী দিনরাত কাজ করে চলেছেন, তাঁদেরও ভুয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন এই বিষয়ে একটি টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি লিখেছেন, “দুর্দান্ত কীর্তি, ভারতের জনগণের জন্য প্রতি ঘরে ঘরে জল পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য কতটা জমি কভার করা হয়েছে এর থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। যারা এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন এবং এই মিশনকে সফল করার জন্য যারা কাজ করছেন তাঁদেরও অভিনন্দন।” অন্যদিকে, জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াত বলেছেন, “১১ কোটি কলের সংযোগ! আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি, জলজীবন মিশনের নির্ধারিত লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য জলশক্তি মন্ত্রকের নিরলস সাধনা এবং আমাদের দলের প্রচেষ্টায় এই মেগা মাইলফলক ছোঁয়া সম্ভব হয়েছে। জীবনের এই অমৃতসুধা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে ১১ কোটি বাড়িতে সুস্বাস্থ্য এবং কল্যাণ নিশ্চিত করা হয়েছে।”
A great feat, indicative of the ground covered to ensure ‘Har Ghar Jal’ to the people of India. Congratulations to all those who have benefitted from this initiative and compliments to those working on the ground to make this Mission a success. https://t.co/c7ACoXNot6
— Narendra Modi (@narendramodi) January 25, 2023
মোদী সরকারের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পগুলির অন্যতম হল এই জল জীবন মিশন। ২০১৯ সালের ১৫ অগস্ট দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় পানীয় জলের ব্যাপক সমস্যা রয়েছে। পরিশ্রুত জল সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয় বাসিন্দাদের। এই সমস্যা দূর করার জন্যই ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রামীণ ভারতের প্রতি ঘরে ঘরে কল থেকে জল পড়বে, এমনই লক্ষ্য নিয়েছে মোদী সরকার। তবে শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, প্রতিটি রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।