পটনা: লোকসভা ভোট নিয়ে বিরোধী দলগুলিকে দেখিয়েছিলেন স্বপ্ন, ২৬টি বিরোধী দলকে এক ছাতার নীচে এনেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। শেষ মুহূর্তে তিনিই নাকি ফের পাল্টি খেতে চলেছেন! এমনটাই জল্পনা। ডিগবাজি খেতে ওস্তাদ নীতীশ কুমার বিহারের মহাগঠবন্ধন জোট (Grand Alliance) ভেঙে বেরিয়ে যেতে পারেন। আবার হাত মেলাতে পারেন বিজেপি(BJP)-র সঙ্গে। লোকসভা ভোটের আগেই নীতীশের অবস্থান নিয়ে সরগরম রাজনীতি।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)-র সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যেতে পারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিহারের বেতিয়ায় প্রচার র্যালি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা যেতে পারে নীতীশ কুমারকে। সেখান থেকেই হয়তো ফের শিবির বদলের ঘোষণা করতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
যদি মহাগঠবন্ধন জোট ভেঙে আবার এনডিএ-তে ফেরেন নীতীশ কুমার, তবে ২০১৩ সাল থেকে এখনও অবধি এটি তাঁর পঞ্চমবার শিবির বদল হবে। বারংবারই তিনি এনডিএ ও বিরোধী জোটের মধ্যে শিবির বদল করে এসেছেন। ২০২২ সালে তিনি শেষবার শিবির বদল করেন। তার আগে ২০১৯ সালে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছিলেন নীতীশ। ২০২২ সালে এনডিএ জোট ছেড়ে তিনি আরজেডি, কংগ্রেস সহ ১৯টি দলকে নিয়ে গঠবন্ধনের সরকার গঠন করেন। ২০২৩ সালটা ভালভাবে চললেও, নতুন বছর শুরু হতেই আবার জোট বদলের জল্পনা।
সূত্রের খবর, নীতীশের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে খুশি নন বিজেপি নেতারা। ২০২২ সালে যখন জোট ভেঙেছিল, সেই সময়ই জানানো হয়েছিল, নীতীশ কুমারের জন্য বিজেপির দরজা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আবার সেই জোটেই ফিরতে পারেন নীতীশ।
যদিও শীর্ষ নেতৃত্বরা বিহারের বিজেপি নেতাদের আপাতত মুখ বন্ধ রাখতেই নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে তাঁরা যেন নিন্দা-সমালোচনা না করেন, তার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। বিহারের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সম্রাট চৌধুরীকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। আজ সুশীল মোদী ও সম্রাট চৌধুরী বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।