তিন বছর আগে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বর্তমানে তিনি মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাঁকেই দেখা গেল কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর পাশে বসে তাঁর সঙ্গে গল্প করতে।
পুরনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিরোধীদের জন্য নির্দিষ্ট আসনের একেবারে সামনের সারিতে বসেছিলেন সনিয়া। পাশে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং কংগ্রেসের লোকসভায় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন।
তাঁদের থামিয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সনিয়ার সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। এরপর তিনি কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের পাশে গিয়ে বসেছিলেন।
কিছুক্ষণ পরে, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা, রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গে মঞ্চে বসার জন্য তাঁদের আসন ছেড়ে উঠে যান মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং অধীর চৌধুরী।
সেই সময় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দেখা যায় সনিয়া গান্ধীর পাশের আসনে গিয়ে বসতে। জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার সময় পাশাপাশিই দুজনে উঠে দাঁড়ান। ২২ জন বিধায়ক-সহ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ফলেই ২০২০-তে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ সরকারের পতন ঘটেছিল। কয়েক মাস পরই ফের নির্বাচন। তার আগে পুরনো নেত্রীর সঙ্গে কী কথা হল তাঁর? জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সংসদের সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার স্মরণ করার জন্য, মঙ্গলবার পুরনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে রাজ্যসভা এবং লোকসভা দুই কক্ষের সকল সদস্যরা জড়ো হয়েছিলেন।
জগদীপ ধনখড়, নরেন্দ্র মোদী, ওম বিড়লা, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, অধীর চৌধুরী এবং পীযূষ গোয়েল অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।
পুরনো সংসদ ভবনকে বিদায় জানিয়ে এরপর সকল সাংসদরা নয়া সংসদ ভবনে পাড়ি দেন। পুরনো সংসদ ভবনটির নতুন নাম দেওয়া হয়েছে সংবিধান ভবন।