ভোপাল: বছর ঘুরলেই মধ্য প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। মধ্য প্রদেশের নির্বাচনে যে জোরদার লড়াই হতে চলেছে এক বছর আগেই সেই আন্দাজ করা যাচ্ছে, অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ার লড়াই তো সেই কথাই বলছে। বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া মারফত একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে রাম-রাবণের যুদ্ধের ভাইরাল ওই ভিডিয়োতে রামের জায়গায় কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ এবং রাবণের জায়গায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের মুখ বসানো হয়েছে। সামনেই মধ্য প্রদেশে স্থানীয় নির্বাচন, সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিয়ো নিয়ে রীতিমতো সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের কারণে এই ভিডিয়ো নিয়ে দুই দলের কর্মী সমর্থনকদের সোশ্যাল লড়াইও চরমে উঠেছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে রামরূপী কমলনাথ রাবণের রূপধারী শিবরাজ সিং চৌহানকে নিশানা করে একের পর এক তির নিক্ষেপ করে চলেছে। কৃষক আত্মহত্যা, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ, দলিতদের ওপর আক্রমণ, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্বের মতো সমস্যাগুলি রাবণের ১০ টি মাথায় স্থান পেয়েছে। শেষে দেখা গিয়েছে রাবণকে কাবু করতে রাম ‘ব্রক্ষ্মাস্ত্র’ প্রয়োগ করেছেন। ভিডিয়োর শেষে একটাই বার্তা, ‘২০২৩ এ কমলনাথই ফিরে আসবেন’।
বিজেপির দাবি, কংগ্রেস এই ভিডিয়ো তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে, অন্যদিকে ভিডিয়োর দায় নিতে অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে যুযুধান দুই দলের মধ্যে লড়াইয়ের আবহেই মধ্য প্রদেশে স্থানীয় নির্বাচন হবে। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে সম্মতি দেওয়ার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনও ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য প্রস্তুত। গতমাসে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ ও বিখ্যাত অভিনেতা রজনীকান্তকে নিয়ে তৈরি হওয়া একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল। ভিডিয়োতে দুই ‘সুপারহিরো’ মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, মহিলা ও শিশুদের ওপর অপরাধের মতো রাক্ষসদের হারানোর পরিকল্পনা করছিলেন। শিবরাজ সিংহ চৌহানের ‘জঙ্গল রাজ’ শীঘ্রই শেষ হবে, এই বার্তা দিতে ভিডিয়ো শেষ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কমলনাথ শপথগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দলত্যাগের পর অনেক বিধায়ক দল বদল করায় মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস সরকার ভেঙে গিয়েছিল। আবারও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন শিবারজ। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কে ক্ষমতায় আসে, সেটাই এখন দেখার।