গুরুগ্রাম: নিজের ঘরে ঘুমাচ্ছিল নাবালিকা। সে সময় ঘরে ঢুকে এক নাবালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণের সময় বাইরে থেকে দরজা বন্ধও রাখা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে গুরুগ্রামে। এই ঘটনাটি তার দিদিকে নির্যাতিতা জানানোর পর গুরুগ্রাম থানায় ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। জুভেনাইল কোর্টে তোলা হলে তাদের চিলড্রেন্স হোমে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গুরুগ্রামে থাকে নাবালিকার পরিবার। তার বয়স ১৩ বছর। গত ১৭ মে ঘরে একাই ঘুমাচ্ছিল সে। অভিযোগ, সে সময়ই তার ঘরে ঢোকে ১৭ বছরের অভিযুক্ত নাবালক। এবং তাকে ধর্ষণ করে। পালানোর চেষ্টা করেও দরজা খুলতে পারেনি ওই নাবালিকা। কারণ সে সময় ঘরের দরজা বন্ধ করে বাইরে দাঁড়িয়েছিল অভিযুক্তর বন্ধু। সেও নাবালক। তার বয়স ১৫ বছর। নাবালিকার কান্না শুনে সেখানে ছুটে আসে নাবালিকার বাবা-মা। সেখান থেকে তখন পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
এর পরই দুই নাবালকের বিরুদ্ধে বাজঘেরা থানায় অভিযোগ দায়ের পরই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪ এবং ১৭ নম্বর ধারা এবং পকসো আইনে (Protection of Children from Sexual Offences (POCSO) Act) মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা যেহেতু নাবালক, তাই তাদের চিলড্রেনস কোর্টে হাজির করানো হয়ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে অভিযুক্ত দুই নাবালককে ফরিদাবাদের একটি চিলড্রেনস হোমে রাখা হয়েছে।
ধর্ষণে অভিযুক্ত নাবালকের বিরুদ্ধে আগেও এই ধরনের আচরণ করার অভিযোগ এনেছে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার। জানা গিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত নাবালক এর আগে নাবালিকা যখন বাথরুমে গিয়েছিলেন, তখন সেখানে ঢুকে গিয়েছিলেন। সে সময় তাকে ধরে ফেললে সে বলেছিল, ভুল করে বাথরুমে ঢুকে পড়েছিল সে। তখন তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছিল। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই সে দিন ওই নাবালক এই কাজ করেছিল, তা এখন বুঝতে পারছেন নির্যাতিতার পরিবার।