নয়া দিল্লি: জল্পনা চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। মাঝে বার কয়েক রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গেও দেখাও করেছেন সিপিআই (CPI) নেতা কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)। আর সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবার বিকেলেই কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন তিনি। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) স্লোগান বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল কানহাইয়ার। এরপরই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই নেতা সিপিআই (CPI)-এর সঙ্গে পাকাপাকিভাবে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলেছেন ক্রমশ। এমনকি তাঁর অফিস থেকে এসি (AC)-ও খুলে নিয়ে এসেছেন।
কানহাইয়া কুমার ও জিগনেশ মেওয়ানির কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখনই এই এসি খুলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানালেন বিহারের সিপিআই-এর সেক্রেটারি রাম নরেশ পান্ডে। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে পাটনায় নিজের অফিসের ঘর থেকে এসি খুলে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেই কানহাইয়া দলীয় নেতৃত্বের কাছে এসি খোলার আবেদন জানান। তিনি বলেছিলেন, অন্য অফিসে এসি লাগাবেন বলে খুলে নিয়ে যাচ্ছেন। নরেশ পান্ডে বলেন, ‘ও নিজের খরচে এসিটা লাগিয়েছিল। তাই আমি ওটা খোলার অনুমতি দিয়েছি। তবে এখনও তিনি আশা করেন, কানহাইয়া হয়ত কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসবে শেষ মুহূর্তে।
বিহারের সিপিআই নেতা নরেশ পান্ডে আরও বলেন, ‘আমি এখনও আশা করছি, কানহাইয়া কুমার কংগ্রেসে যোগ দেবেন না। কারণ কানহাইয়া কমিউনিস্ট মানসিকতার রাজনীতিক। আর এই মানসিকতার রাজনীতিকরা সবসময় নিজের আদর্শে স্থির থাকে। তিনি আরও জানিয়েছেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে সিপিআই-এর ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন কানহাইয়া। গত ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর ছিল সেই বৈঠক। সেখানে নাকি কানহাইয়ার কথাবার্তায় দল ছাড়ার কোনও ইঙ্গিত পাননি বৈঠকে উপস্থিত বাকি নেতারা। এমনকি দলের কোনও পদের জন্য দাবিও জানাননি কানহাইয়া। তাই কেন এমন আচমকা দলবদলের জল্পনা, তা বুঝে উঠতে পারছেন না কানহাইয়ার দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধারা।
শুধু কানহাইয়া নয়, আজ কংগ্রেসের যোগ দিতে পারেন গুজরাটের নেতা জিগনেশ মেওয়ানিও। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে কংগ্রেসের মুখ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এই যোগদান পর্ব হবে আজ। একদিকে বামপন্থী ছাত্রনেতা, অপরদিকে দলিত নেতা। স্বাভাবিকভাবেই এই যোগদান পর্বের দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। বিরোধী হিসেবে কংগ্রেসে এই দুই তরুণ মুখ ব্যবহার করতে চাইছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
কংগ্রেসের অন্দরে কানহাইয়া ও জিগনেশের কী ভূমিকা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জিগনেশকে গুজরাটে ও কানহাইয়াকে বিহারে বিরোধী মুখ করে তোলার প্রচেষ্টা যে হবে, সে কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। সংশ্লিষ্ট দুই রাজ্যের সংগঠনে দু’জনকে বড় পদও দেওয়া হতে পারে। এর পাশাপাশি অন্যান্য সময়ে গোটা দেশেও প্রয়োজন অনুসারে ঘুরে ঘুরে প্রচার এঁরা করবেন। সূত্র জানাচ্ছে, এই দুই যুব নেতাই ব্যক্তিগতভাবে রাহুল গান্ধীর বেশ পছন্দের। যদিও সিপিআইএম থেকে দল ভাঙিয়ে কানহাইয়া আনার কারণে রাহুলের সমালোচনা হচ্ছে কোনও কোনও মহলে।
আরও পড়ুন: Covid 19 Cases in India: ফিরছে স্বস্তি! প্রায় ৭ মাস পর দৈনিক সংক্রমণ নামল ২০ হাজারের নীচে