নয়া দিল্লি: কংগ্রেস ছাড়লেও গুলাম নবি আজ়াদকে নিয়ে বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না। এবার অদ্ভুত দাবি করলেন কর্নাটকের কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। তিনি দাবি করেন, গুলাম নবি আজ়াদ যে পাঁচ পাতার ইস্তফাপত্র লিখেছেন, তা আসলে তিনি লেখেননি। অন্য কেউ সেই চিঠি লিখেছেন। রবিবার তাঁর এই মন্তব্যেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, তবে কী গুলাম নবি আজ়াদের ইস্তফার পিছনে অন্য কোনও দলের হাত রয়েছে?
রবিবার কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার বলেন, “আমি গুলাম নবি আজ়াদের ইস্তফাপত্র পড়ার সুযোগ পেয়েছি। তিনি প্রথম দুই পাতা জুড়ে লিখেছেন যে ৪৭ বছর ধরে কংগ্রেসে তাঁর কী ভূমিকা ছিল। দলের তরফে তাঁকে একাধিক পদ দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, একাধিকবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা, একাধিক রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক ও কংগ্রেস ওয়ার্কি কমিটির সদস্য পদ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। চিঠিটি পড়ার পর আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে চিঠিটি উনি নিজে লিখেছেন নাকি অন্য কোনও দলের কারোর হাত রয়েছে এই চিঠির পিছনে।”
তিনি আরও জানান যে, কংগ্রেসে থাকাকালীন যদি গুলাম নবি আজ়াদের সমস্য়া থাকত, তবে তিনি সরাসরি সেই কথা জানানো উচিত ছিল। এভাবে দীর্ঘ সময় চুপ থেকে, ইস্তফাপত্রে অভিযোগ জানানোর কোনও অর্থ নেই। তিনি বলেন, “বিগত ৪০ বছর ধরে আজ়াদকে দলের তরফে যে পদগুলি দেওয়া হয়েছিল, তার সবকটিই তিনি উপভোগ করেছেন। তখন তিনি চুপ কেন ছিলেন? তিনি তখন বলতে পারতেন। রাজ্যসভায় আর আসন না পাওয়ার পরই তিনি এইরকম বিদ্রোহ শুরু করলেন। উনি কি অভিজ্ঞতা নিয়ে জন্মেছিলেন? ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে তিনি যখন কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন, সেই সময় কি ওনার কোনও অভিজ্ঞতা ছিল? দলে যোগ দেওয়ার পর তিনি কাজ করতে করতে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।”
ডিকে শিবকুমার আরও বলেন, “চিঠিটি দেখে মনে হচ্ছে ২০১৯ সালে কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধীর ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে ওনার মনে যে ক্ষোভ জন্মেছিল, তা নিয়েই অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই সময় কেন উনি কথা বলেননি? ২০১৩ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এমন কি বলতে গেল?”