Karnataka High Court: পপুলার ফ্রন্টের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল কর্নাটক হাইকোর্ট

Karnataka High Court: 'পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া' বা পিএফআই দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে কর্নাটক হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত।

Karnataka High Court: পপুলার ফ্রন্টের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল কর্নাটক হাইকোর্ট
কর্নাটক হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2022 | 5:45 PM

বেঙ্গালুরু: ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’ বা পিএফআই দলকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে কর্নাটক হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন পিএফআই-এর কর্নাটক শাখার সভাপতি নাসির পাশা। বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নর এক বিচারকের বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারীরা এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে পারেননি, যাতে এই মামলাটি চলতে পারে।

এদিন আদালতে পিএফআই-এর আইনজীবী দাবি করেন, এই গোষ্ঠীর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্তের পক্ষে কোনও যুক্তি দিতে পারেনি কেন্দ্র। তাই এই নিষেধাজ্ঞা অন্যায্য। তিনি আরও যুক্তি দেন, বিভিন্ন অপরাধের ঘটনার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে সংখ্যালঘুদের যে মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে, সেই অধিকারও লঙ্ঘিত হয়েছে। তবে আদালতে এই সকল যুক্তি ধোপে টেকেনি।

গত সেপ্টেম্বর মাসে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ইউএপিএ-র আওতায় পিএফআই গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার আগে গোটা দেশে পিএফআই-এর বিভিন্ন কেন্দ্রে ও বিভিন্ন সদস্যের বাড়িতে হানা দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ, অপরাধ দমন শাখা এবং জাতীয় তদন্ত সংস্থার বিভিন্ন দল। প্রায় ৩০০ জনেরও বেশি পিএফআই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু ,সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ছিল এই গোষ্ঠী, এমনও দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। পিএফআই সদস্যদের বিরুদ্ধে ১৪০০টিরও বেশি ফৌজদারী মামলাও রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ডানপন্থী নেতাদের হত্যা জড়িত।

এর পাশাপাশি বিভিন্ন নিষিদ্ধ গোষ্ঠী এবং জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও যোগ ছিল পিএফআই-এর, এমনটাই দাবি কেন্দ্রের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের অভিযোগ, স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া বা সিমি, জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবি, এমনকী, ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গেও যোগ ছিল পিএফআই সদস্যদের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশ-বিদেশ থেকে হাওয়ালা এবং অনুদানের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করত তারা।

সেপ্টেম্বর মাসে জারি করা নিষেধাজ্ঞায় মন্ত্রক বলেছিল, “বাইরে থেকে তহবিল এবং নীতিগত সমর্থনের জোরে, দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।” আরও বলা হয়েছিল, পিএফআই-এর অন্তত ২০ জন সদস্য ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও বলেছিল, “এই গোষ্ঠী সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশকে চরমপন্থী করার গোপন পরিকল্পনা নিয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা দেশের সংবিধানকেও অশ্রদ্ধা করে।”