বেঙ্গালুরু: নৈশ কার্ফু জারি করা হয়েছিল আগেই, কিন্তু তারপরও বাড়ছে ওমিক্রন ও করোনা সংক্রমণ। নববর্ষের আগেই তাই বিধিনিষেধ কঠোরের চিন্তাভাবনা কর্নাটক সরকারের। তবে রাজ্যে জারি বিধিনিষেধের ফলে ব্যবসায় দারুণ ক্ষতি হচ্ছে, এমন দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এরপরই বুধবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানান, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে বিধি নিষেধগুলি জারি করা হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেখবেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর থেকেই ১০ দিনের জন্য কর্নাটক জুড়ে নৈশ কার্ফু সহ একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি অবধি রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা অবধি নৈশ কার্ফু জারি থাকবে রাজ্যে। এছাড়া রেস্তরাঁ, হোটেল, পাব ও ক্লাবগুলিকেও করোনা বিধি অনুসরণ করে এবং ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে পরিচালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকল কর্মীকেই সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত হতে হবে এবং করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষর নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত পরিষেবা ও সাধারণ মানুষের চলাচলের উপরও বিধিনিষেধ রয়েছে। কোনও জরুরি প্রয়োজনে গাড়ি বা সাধারণ মানুষ যাতায়াত করলে, সেক্ষেত্রে তাদের কাছে বিশেষ পাস থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
ফেডারেশন অব কর্নাটক চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, হোটেল ও পাব মালিকরা, অটো রিক্সা ও ট্য়াক্সি চালকদের তরফ থেকে কর্নাটক সরকারের কাছে নৈশ কার্ফু ও নববর্ষের উদযাপন নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে যে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে, তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। তাদের দাবি, এই সময়েই সবথেকে বেশি ব্যবসা হয়, কিন্তু বিধিনিষেধ জারি করার ফলে সেই ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। অন্তত নববর্ষের দুইদিন যেন ছাড় দেওয়া হয়।
ব্যবসায়ীদের আবেদন পেয়েই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি বিধিনিষেধ পর্যালোচনা করে দেখবেন। তিনি বলেন, “আমি সবকিছুই দেখছি। আগামিকাল বেঙ্গালুরু যাব। সেখানে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।” তবে সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, বিধিনিষেধ শিথিলের বদলে আরও কঠেরই করা হতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, কর্নাটকে বুধবার নতুন করে ৫ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলায় বর্তমানে রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ -এ বেড়ে দাড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জন ইতিমধ্যেই সুস্থও হয়ে উঠেছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ কে সুধাকর জানান, নতুন করে যে ৫জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, তাদের মধ্যে একজন সরাসরি আমেরিকা থেকে, আরেকজন ভায়া কাতার আমেরিকা থেকে ফিরেছেন। আরও দুই যাত্রীর মধ্যে একজন দুবাই থেকে ও অপরজন ঘানা থেকে দোহা ও তারপরে কর্নাটকে এসেছেন। পঞ্চম আক্রান্ত মুম্বই থেকে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে সকল রোগীকেই একান্তবাসে রাখা হয়েছে এবং কন্ট্য়াক্ট ট্রেসিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে।