রয়ে যাবে বাবার সঙ্গে শেষ দেখা করতে না পারার আক্ষেপ, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে ১১ বছর লাগল কাশ্মীরী যুবকের

Kashmir Man Proven Innocent after 11 Years of Imprisonment:বসির জানান, তাঁর জীবনের সবথেকে বড় দুঃখ হল শেষ একবার তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। ২০১০ সালে তাঁকে যখন গ্রেফতার করা হয়, সেই সময়ই ক্যানসারে ভুগছিলেন তাঁর বাবা।

রয়ে যাবে বাবার সঙ্গে শেষ দেখা করতে না পারার আক্ষেপ, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে ১১ বছর লাগল কাশ্মীরী যুবকের
মায়ের সঙ্গে বসির আহমেদ। ছবি:টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Jul 02, 2021 | 11:35 AM

জম্মু: সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক কাশ্মীরী যুবককে। অবশেষে প্রমাণিত হল হল তিনি নির্দোষ। কিন্তু মাঝে হারিয়ে গেল ১১টি বছর। দীর্ঘ ১১ বছর বিনা অপরাধে জেলবন্দি থাকলেন বসির আহমেদ বাবা। গত ১৯ জুন উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ না থাকায় তাঁকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করে আদালত।

কাশ্মীরের বাসিন্দা বসির কর্কট রোগে আক্রান্ত বাবার সেবা-শুশ্রষা শিখতে গুজরাটে একটি কোর্স করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু গুজরাট দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ২০১০ সালে তাঁকে গুজরাটের আনন্দ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ ওঠে, ২০০২ সালে গুজরাটে যে দাঙ্গা হয়েছিল, সেই সময় ফোনে পাকিস্তানের হিজবুলমুজাহিদ্দিনের কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বসির আহমেদ বাবা। মুসলিমদের নিয়ে একটি জঙ্গি মডিউল গঠন করার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

মাঝে দীর্ঘ ১১টি বছর কেটে গেলেও বসিরের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে না পারায় গত মাসেই আনন্দ জেলা আদালতের অতিরিক্ত বিচারপতি তাঁকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন। জেল থেকে মুক্তি পেয়েই বসির জানান,কম্পিউটারের খুঁটিনাটিই তাঁর পেশা ছিল। আচমকাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বিচারপ্রক্রিয়া এতটাই ধীরগতির যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ১১ বছর লেগে গেল।

বসির জানান, তাঁর জীবনের সবথেকে বড় দুঃখ হল শেষ একবার তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। ২০১০ সালে তাঁকে যখন গ্রেফতার করা হয়, সেই সময়ই ক্যানসারে ভুগছিলেন তাঁর বাবা। মৃত্যুর পর বড় ছেলে হিসাবে শেষকৃত্যের দায়িত্ব পালন তো দূরের কথা, সেই অনুষ্ঠানে যোগও দিতে পারেননি তিনি।

বসিরের মা মোখতা বেগম বলেন, “জেলবন্দি থাকাকালীনই  ওর বাবা ও কাকার মৃত্যু হয়। আমরাও এই ১১ বছরে কেবল একবারই ওকে দেখতে গিয়েছি, কারণ গুজরাটে দ্বিতীয়বার যাওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য আমাদের নেই।”

আরও পড়ুন: ফের ড্রোনের দেখা উপত্যকায়, বিএসএফ গুলি চালাতেই পাক সীমান্তে পগারপার!