নয়া দিল্লি: দীর্ঘদিন ধরেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে বিরোধীদের হেনস্থা করতে ব্যবহার করা অভিযোগ উঠেছে। এবার নিজের মন্ত্রিসভার সদস্যের গ্রেফতারি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ররিবার কেজরীবাল জানিয়েছেন, তাঁর দলের কাছে খবর আছে, পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমাদের সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে, পঞ্জাব নির্বাচনের আগে সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি। ইতিমধ্যেই তাঁর বাড়িতে দু’বার তল্লাশি চালিয়ে কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডি যদি আবার তল্লাশি করে আসতে চায়, তাদের স্বাগত। কারণ নির্বাচনের মরসুমে যখন বিজেপির হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, তখনই তারা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগাবে। তাই বলাই যায় ইডি অভিযান হবে, গ্রেফতারিও হতে পারে।”
এদিন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহারে অভিযোগে সরব হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সত্যের পথে চলছি, তাই এই ধরনে বাধা বিপত্তি আসা স্বাভাবিক। আমরা ভয় পাইনা। দয়া করে আয়কর বিভাগ, সিবিআই, দিল্লি পুলিশের মতো সংস্থাগুলিকেও পাঠিয়ে দিন। আগেও অভিযান চালানো হয়েছে, অতীতে দলের ২১ বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলাতে সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এর বেশি আর কিছুই হবে না। কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি জামিন পেয়ে যাবেন। গ্রেফতারি নিয়ে আমরা ভয় পাইনা।”
এদিন ইডির গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মুখ খুলে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নিকেও কটাক্ষ করেন কেজরীবাল। সম্প্রতি চন্নির ভাইপোর বাড়িতে ইডি অভিযানে ৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। ইডি অভিযান নিয়ে উত্তাল পঞ্জাবের রাজনীতি। বিরোধীদের নিশানার মুখে পড়েন চন্নি। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে এদিন কেজরীবাল বলেন, “ইডি অভিযান চালালেও আমরা চরণজিৎ চন্নির মতো চিৎকার করব না কারণ আমরা কোনও ভুল কাজ করিনি। চন্নি উদ্বিগ্ন কারণ তাঁর কাছে লুকোনোর অনেক কিছু রয়েছে। সাধারণ মানুষ এখন জানেন ১১১ দিনে তিনি কী করেছেন। আমাদের ক্ষেত্রে সেরকম কিছু নেই। শুধুমাত্র সত্যেন্দ্র জৈন নয় আমার বাড়িতে সব কেন্দ্রীয় সংস্থাকে স্বাগত জানাই।”
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ সাল নাগাদ বেআইনি টাকা পাচার মামলায় ইডির নজরে পড়েন সত্যেন্দ্র জৈন। মামলাটি দায়ের করেছিল সিবিআই। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, জৈন যে চারটি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ছিলেন তার দ্বারা প্রাপ্ত তহবিলের উৎস ব্যাখ্যা করতে পারেননি। এই চারটি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে প্রয়াস ইনফো সলিউশনস, আকিনচান ডেভেলপারস, মানবালয়তন প্রজেক্টস এবং ইন্দো-মেটাল ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেড। জৈন এবং তার স্ত্রী এই কোম্পানিগুলির এক-তৃতীয়াংশ শেয়ারের হোল্ডার ছিলেন।
আরও পড়ুন : Mamata On Netaji Birthday: দেশনায়কের জন্মদিনে মোদীকে পুরানো দাবি মনে করালেন মমতা