‘সরানো হোক লক্ষদ্বীপের প্রশাসককে’, প্রস্তাব কেরলের বিধানসভায়

লক্ষদ্বীপের প্রশাসক এমন কিছু নিয়ম এনেছেন, যাতে দ্বীপের মানুষের গণতন্ত্রে আঘাত করা হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন অনেকেই।

'সরানো হোক লক্ষদ্বীপের প্রশাসককে', প্রস্তাব কেরলের বিধানসভায়
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Updated on: Jun 01, 2021 | 5:33 PM

তিরুবনন্তপুরম: নতুন প্রশাসকের আনা আইন-কানুন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে লক্ষদ্বীপ (Laskshadweep)। বেশ কিছু নিয়ম চালু করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন লক্ষদ্বীপের নতুন প্রশাসক প্রফুল্ল পটেল (Praful Khoda Patel)। একাধিক রাজ্যই এ ক্ষেত্রে ওই প্রশাসককে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে সরব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarai Vijayan)। এবার সেই দাবিতে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশ হল কেরলের বিধানসভায়।

লক্ষদ্বীপের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন কেরলের বিধানসভার সদস্যরা। প্রশাসকের চালু করা নিয়মগুলির বিরোধিতা করে তাঁদের দাবি, লক্ষদ্বীপের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা বাঁচাতে অবিলম্বে প্রশাসককে সরানো হোক। গত ৬ এপ্রিল পিনারাই বিজয়ন কেরলে ক্ষমতায় আসার পর সে রাজ্যের বিধানসভায় এটাই প্রথম কোনও প্রস্তাব। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘লক্ষদ্বীপের জীবনযাত্রায় আঘাত করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের জীবিকা ধাক্কা খাচ্ছে। এতে দ্বীপের মানুষের গণতন্ত্রে আঘাত করা হচ্ছে। গণতন্ত্রকে যিনি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তাঁকে সরানো হোক। এ ক্ষেত্রে লক্ষদ্বীপের মানুষের সংস্কৃতি ধ্বংস করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আসরে অমিত শাহ, লক্ষদ্বীপ বিতর্কের ইতি?

একাধিক খসড়া আইন এনেছেন লক্ষদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল্ল খোদা পটেল। লক্ষদ্বীপের সংস্কৃতি ও কেরলের মালায়লাম জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির মিল রয়েছে। তাঁরা গোমাংস খান। কিন্তু প্রশাসকের পদে বসে গোমাংস নিষিদ্ধ করার আইন আনার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রফুল্ল কে পটেল। এছাড়া, ভোটে লড়ার মাপকাঠি ইক করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটে লড়ায় বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যাদের ২-এর বেশি সন্তান রয়েছে তাঁরা ভোটে লড়তে পারবেন না। এছাড়া, গুন্ডাদমন আইনে একটি গুন্ডাদমন আইন আনতে চাইছেন প্রফুল্ল পটেল। যেখানে বিচার ব্যবস্থার আগে পুলিশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্য রয়েছে। অর্থাৎ কাউকে কোর্ট ট্রায়ালে না ফেলেই আটক করে রাখার ক্ষমতা থাকবে পুলিশের হাতে। এছাড়া, এ যাবৎ লক্ষদ্বীপে মদ বিক্রির অনুমতি ছিল না। কিন্তু প্রফুল্ল পটেল প্রশাসক হওয়ার পর তিনি মদ বিক্রিতে অনুমতি দিয়েছেন।