AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আসরে অমিত শাহ, লক্ষদ্বীপ বিতর্কের ইতি?

এই অবস্থায় অমিত শাহের আশ্বাস কিছুটা স্বস্তির বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আসরে অমিত শাহ, লক্ষদ্বীপ বিতর্কের ইতি?
ফাইল চিত্র
| Updated on: Jun 01, 2021 | 6:33 AM
Share

নয়া দিল্লি: লক্ষদ্বীপ (Lakshasweep) বিতর্কে জল ঢাললেন সেখানকার এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়জল। সোমবার তিনি জানিয়েছেন অমিত শাহ তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন স্থানীয়দের বিরোধিতা থাকলে কায়েম হবে না প্রশাসক প্রফুল্ল পটেলের  খসড়া আইনগুলি। ইতিমধ্যেই খসড়া আইনের বিরোধিতা করে কোর্টে গিয়েছেন লক্ষদ্বীপের স্থানীয়রা।

আইনের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মহম্মদ ফয়জলের দল এনসিপির প্রধান শরদ পাওয়ার। আইনের বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। এই অবস্থায় অমিত শাহের আশ্বাস কিছুটা স্বস্তির বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, টুইটারে প্রতি ৩০ মিনিটে ১ হাজারের বেশি টুইট হচ্ছে যেখানে লেখা হ্যাশট্যাগ সেভ লক্ষদ্বীপ (Lakshadeep)। অর্থাৎ নেট মাধ্যমে লাক্ষদ্বীপকে বাঁচানোর আর্তি। এ বার প্রশ্ন, কেন ভারতের অন্যতম সুন্দর-সমৃদ্ধ এই দ্বীপকে বাঁচাতে হবে? সমস্যাটা কোথায়? এ বিষয়ে বিরোধী নেতারা অভিযোগের আঙুল তুলছেন লক্ষদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল্ল খোড়া পটেলের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, ‘তুঘলকি’ আইন এনে লক্ষদ্বীপের সংস্কৃতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন প্রফুল্ল। কংগ্রেস নেতা তথা ওয়ানাদের সাংসদ রাহুল গান্ধী টুইট করে লিখেছেন, “লক্ষদ্বীপ ভারতের সম্পদ। অশিক্ষিত ধর্মান্ধরা তা নষ্ট করে দিচ্ছে। আমি লক্ষদ্বীপের মানুষের পাশে আছি।” কার্যত প্রফুল্ল পটেলের বিরোধিতা করে লক্ষদ্বীপের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন বিরোধী একাধিক নেতা।

কী কী খসড়া আইন এনেছেন পটেল?

গো-হত্যা নিষিদ্ধ: লক্ষদ্বীপের সংস্কৃতি ও কেরলের মালায়লাম জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির মিল রয়েছে। তাঁরা গোমাংস খান। কিন্তু প্রশাসকের পদে বসে গোমাংস নিষিদ্ধ করার আইন আনার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রফুল্ল কে পটেল।

ভোটে লড়ার মাপকাঠি: স্থানীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটে লড়ায় বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। তবে এক বিশেষ শর্ত জারি করার কথা বলেছেন প্রফুল্ল পটেল। যেখান বলা হয়েছে, যেসব প্রার্থীর ২-এর বেশি সন্তান রয়েছে তাঁরা ভোটে লড়তে পারবেন না। কেন এহেন আইন আনার কথা বলছেন প্রফুল্ল? তাহলে কি লক্ষদ্বীপের জন্মহার অত্যন্ত বেশি? পরিসংখ্যান বলছে সেখানে জন্মহার ১.৪। ভারতের উত্তর প্রদেশে বা বিহারে সেটা ৩ এর বেশি। অর্থাৎ জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যা নেই লক্ষদ্বীপে। সেখানকার স্থানীয়দের অভিযোগ, বহু প্রভাবশালী নেতা যাতে নির্বাচনে লড়তে না পারেন, তাই এই আইন আনতে চাইছেন প্রফুল্ল পটেল।

গুন্ডাদমন আইন: একটি গুন্ডাদমন আইন আনতে চাইছেন প্রফুল্ল পটেল। যেখানে বিচার ব্যবস্থার আগে পুলিশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্য রয়েছে। অর্থাৎ কাউকে কোর্ট ট্রায়ালে না ফেলেই আটক করে রাখার ক্ষমতা থাকবে পুলিশের হাতে। লক্ষদ্বীপে অপরাধ প্রবণতা অত্যন্ত কম। তাপরেও এই আইন কেন? উঠছে প্রশ্ন।

মদ বিক্রির সিদ্ধান্ত: এ যাবৎ লক্ষদ্বীপে মদ বিক্রির অনুমতি ছিল না। কিন্তু প্রফুল্ল পটেল প্রশাসক হওয়ার পর তিনি মদ বিক্রিতে অনুমতি দেন।

আরও পড়ুন: করোনার ১০ টি ভ্যারিয়েন্টের নামকরণ করল হু, ভারত পেল ‘ডেল্টা’ ও ‘কাপ্পা’