করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হননি এই গ্রামের কোনও বাসিন্দা
গ্রামের প্রতিটা বাড়ির সামনে রাখা থাকছে সাবান ও এক বালতি জল (Water)। কারও বাড়িতে ঢোকার আগে আগে ভাল করে হাত ধোওয়া বাধ্যতামূলক।
জোড়হাট: করোনার আবহে এই গ্রামের (Village) জুরি মেলা ভার! যখন করোনার দাপটে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সারা দেশে মানুষ বিপর্যস্ত। তখনই আশার আলো দেখাল অসমের (Assam) জোড়হাটের কাওয়াইমারির গোহাইগাঁও। করোনায় প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হননি কোনও গ্রামবাসী। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এই গ্রাম যেন ভারতবাসীর কাছে মডেল।
এই গ্রামে ৪০০ পরিবারের বসবাস। গ্রামের জন সংখ্যা প্রায় ২০০০। এখনও পর্যন্ত এই গ্রামের কোনও বাসিন্দার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই। জানা গিয়েছে, গ্রামের প্রত্যেকেই করোনার সুরক্ষা বিধি সচেতন ভাবে মেনেছে। সে করণেই এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়নি এই গ্রামের কোনও মানুষ।
শুরু থেকেই সচেতন ছিল গ্রামবাসী। গ্রামের প্রতিটা বাড়ির সামনে রাখা থাকছে সাবান ও এক বালতি জল। কারও বাড়িতে ঢোকার আগে আগে ভাল করে হাত ধোওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়া মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারেও সচেতন প্রত্যেক গ্রামবাসী। করোনা মোকাবিলার জন্য ২৫ সদস্যের একটি দল গড়া হয়েছে। তারাই নিয়ম করে গ্রামের প্রবেশ পথে পাহারা দেন।
অতিরিক্ত সতর্কতার জন্যই এই গ্রামে ঢুকতে পারেনি মারণ ভাইরাস। আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এমন কি করোনায় মৃত্যুও হয়েছে পার্শ্ববর্তী গ্রামের কয়েক জনের। তবে বাসিন্দাদের বাড়তি সচেতনতার কারণে অসমের জোড়হাটের কাওয়াইমারির গোহাইগাঁও গ্রামের কাউকে ছুঁতে পারেনি করোনা।
আরও পড়ুন: বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর, ১ জুন থেকে খোলা থাকবে বইয়ের দোকান