কেরল সোনা পাচারকাণ্ডে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে হাতিয়ার করেই গ্রেফতার পিনারাইয়ের প্রাক্তন সচিব

কেরলে সোনা পাচারকাণ্ডে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে হাতিয়ার করেই সাসপেন্ড হওয়া আইএএস অফিসার এম শিবশঙ্করকে ৭ দিনের জন্য ইডি নিজের জিম্মায় নিল। চলতি বছরের ৪ জুলাই তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর থেকে ১৫ কোটি টাকা বাজার মূল্যের ৩০ কেজি সোনা আটক করে শুল্ক দপ্তর। সেই ঘটনাতেই জড়িত শিবশঙ্কর।

কেরল সোনা পাচারকাণ্ডে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে হাতিয়ার করেই গ্রেফতার পিনারাইয়ের প্রাক্তন সচিব
সাতদিনের জন্য ইডি হোফাজতে নিল IAS অফিসার শিবশঙ্করকে । ছবি সৌজন্যে :গুগল
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 10:23 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনই কাল হল আইএএস অফিসার (IAS Officer) এম শিবশঙ্করের। কেরলে সোনা পাচারকাণ্ডে (Kerala Gold Smuggling Case) হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে হাতিয়ার করেই সাসপেন্ড হওয়া অফিসারকে ৭ দিনের জন্য ইডি (ED) নিজের জিম্মায় নিল। বুধবার দীর্ঘক্ষণ জেরার পর কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের (Pinarayi Vijayan) প্রাক্তন প্রধান সচিবকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা।

ওই গ্রেফতারি পরোয়ানায় বলা হয়েছে, “শিবশঙ্কর শুল্ক দপ্তরের সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে কথা বলা ও মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের কথা মতোই আবেদন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, স্বপ্না সুরেশের অপরাধমূলক কাজে তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও সরকারি অফিসের অপব্যবহার ও সরকারি কর্মচারীদের কাজে হস্তক্ষেপ করার প্রমাণ দেয় যাবতীয় তথ্য। ”

পুলিস জানিয়েছে, চ্যাটগুলি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় শিবশঙ্কর তাঁর সরকারি পদের ব্যবহার করে পাচার হওয়া সোনার ব্যাগ-সহ অন্যান্য ডিপ্লোমেটিক কার্গোগুলিকেও ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য় ফোন করেছিলেন। বিনা পরীক্ষায় ওই ব্যাগগুলি ছেড়ে দিলে কেউ জানতেও পারত না সোনা পাচারের বিষয়টি। পুলিসের দাবি অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ২১বার সোনা পাচার করা হয়েছে এবং এই অপরাধে শিবশঙ্কর সাহায্য করেছেন। এতে স্পষ্ট, মূল অভিযুক্ত স্বপ্নাকে আর্থিক সাহায্যের পিছনে বড় হাত ছিল শিবশঙ্করের। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা স্বপ্নার লকার থেকে উদ্ধার করা যাবতীয় বিষয়-সম্পত্তি আসলে শিবশঙ্করের বলেই দাবি পুলিসের।

চলতি বছরের ৪ জুলাই তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর থেকে ১৫ কোটি টাকা বাজার মূল্যের ৩০ কেজি সোনা আটক করে শুল্ক দপ্তর। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ডিপ্লোম্যাটিক কার্গোয় সেই সোনা কেরলে এসেছিল। সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় আরব আমিরশাহি দূতাবাসের প্রাক্তন জনসংযোগ আধিকারিক সরিথ কুমারকে। এরপর ১২ জুলাই মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও তার সহকারী সন্দীপ নায়ারকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।