Kerala High Court: মিথ্যা মামলায় ৫০ দিনেরও বেশি হাজতে! আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ হাইকোর্টের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Apr 05, 2022 | 8:33 PM

Kerala High Court: মিথ্যা মামলায় ফেঁসে ৫০ দিনেরও বেশি সময় জেলে আটকে ছিলেন দুই ব্যক্তি। এবার তাঁদের ক্ষতিপূরণ বাবদ আড়াই লাখ টাকা করে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। মঙ্গলবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট।

Kerala High Court: মিথ্যা মামলায় ৫০ দিনেরও বেশি হাজতে! আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ হাইকোর্টের
কেরল হাইকোর্ট

Follow Us

তিরুবনন্তপুরম : মিথ্যা মামলায় ফেঁসে ৫০ দিনেরও বেশি সময় জেলে আটকে ছিলেন দুই ব্যক্তি। এবার তাঁদের ক্ষতিপূরণ বাবদ আড়াই লাখ টাকা করে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। মঙ্গলবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি পি.ভি. কুনহিকৃষ্ণানের পর্যবেক্ষণ, যদি পরবর্তীকালে দেখা যায় যে বন্দি রাখা বেআইনি ছিল এবং ব্যক্তিকে মিথ্যাভাবে জড়িত করা হয়েছিল, তবে সেক্ষেত্রে তা ভারতীয় সংবিধানের ২১ ধারায় নিশ্চিত করা মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন করা হয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আদালতের পদক্ষেপ করা উচিত এবং পরিস্থিতির শিকার হওয়া ব্যক্তির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা উচিত।

উল্লেখ্য, দুটি পৃথক আবকারি মামলায় আবেদনকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং 50 দিনেরও বেশি সময় ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁরা নির্দোষ বলে প্রমাণিত হন। আইনজীবী সাবু জর্জ এবং আর রেজি আবেদনকারীদের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন এবং জানান, সংবিধানের ২১ ধারার আওতায় তাঁদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তারা যুক্তি ছিল, আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বেআইনিভাবে রাজ্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছিল। অন্যদিকে সরকারের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী দীপা নারায়ণন। তিনি আবার বলেন, আবেদনকারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য দায়ী নয়। কারণ, এটি কেবলমাত্র কিছু আবগারি আধিকারিকদের দায়িত্বের অবহেলা ছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি সরকারি আইনজীবী আরও দাবি করেন, আদালত ২২৬ ধারার আওতায় এই জাতীয় পিটিশন গ্রহণ করতে পারে না। কারণ সরকার পক্ষে তাদের মামলার পক্ষে সবসময় প্রমাণ যোগ করতে সফল নাও হতে পারে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, পিটিশনকারীদের দেওয়ানি আদালতে মামলা করা উচিত, যাতে উভয় পক্ষই একটি মামলা করতে পারে। আদালত দুই পক্ষের কথা শুনে জানিয়েছে, যখন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয় উঠে আসে, তখন আদালতের থেমে থাকা উচিত নয়। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। মৌলিক অধিকার রক্ষা না করার জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক কর্তব্যে লঙ্ঘনের কারণে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা দরকার।

আরও পড়ুন : Youtube Channels Blocked: ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে ভুয়ো খবর! ব্লক হল ২২ ইউটিউব চ্যানেল

Next Article