কেরল : করোনার ভ্যাকসিনের শংসাপত্রে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। এই ছবি দিয়ে আদতে রাজনৈতিক প্রচার চালানো হচ্ছে, তাই এই ছবি অবিলম্বে সরানো উচিৎ। আদালতে এমন দাবিই জানান এক ব্যক্তি। কিন্তু, সেই আর্জি খারিজ হয়ে গেল আদালতে। কেরল হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিনের শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকতেই পারে। একজন প্রধানমন্ত্রী মানুষকে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বার্তা দিতেই পারেন, এমনটাই বলেন বিচারপতি। এর আগে সিঙ্গল বেঞ্চেও এই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। পরে আবেদন জানানো হয় ডিভিশন বেঞ্চে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি।
ভ্যাকসিনের শংসাপত্র থেকে মোদীর ছবি সরানোর আর্জি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কেরল হাইকোর্টে। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চে সেই মামলা হয়। সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে বিচারপতি সেই আর্জি খারিজ করে দেন। পিটার মায়ালিপারামপিল নামে জনৈক ব্যক্তি ওই আর্জি জানিয়েছিলেন। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সিঙ্গল বেঞ্চ আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি আবেদনকারীকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেরল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার শুনানি ছিল কেরল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এস মনিকুমার ও বিচারপতি শাজি পি চালির ডিভিশন বেঞ্চে। আর এ দিন সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই সমর্থন জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, ভ্য়াকসিনের শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি আসলে বিজ্ঞাপন নয়, বার্তা।
আবেদনকারীর দাবি, কোনও সরকারি টাকা ব্যবহার করে যখন কোনও প্রকল্প চলে, তখন তাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকা উচিৎ নয়, কারণ প্রধানমন্ত্রী একজন রাজনৈতিক দলেরও নেতা। এতে স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার প্রবণতা নষ্ট হয়।
এ দিন ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানায়, একজন প্রধানমন্ত্রীকে মানুষ নির্বাচন করেছেন। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দলীয় নেতা থাকেন না। তাই এই ছবি কোনও রাজনৈতিক প্রচারও নয়। পাশাপাশি, এ ক্ষেত্রে ভোটাধিকারে প্রভাব পড়বে, এ কথা মানতে রাজি নয় আদালত।