‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি’, দৈনিক ১০ হাজার আক্রান্ত নিয়ে মুখ খুলল পিনারাই সরকার

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 28, 2021 | 6:39 AM

সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা এখনও সীমিত রয়েছে বলে জানান এক চিকিৎসক। তিনি বলেন, "বর্তমানে এক লাখেরও বেশি সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার ৫০ শতাংশেরও কম।"

নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি, দৈনিক ১০ হাজার আক্রান্ত নিয়ে মুখ খুলল পিনারাই সরকার

Follow Us

তিরুবনন্তপুরম: দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১০০ বা ১০০০ -র গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকলেও কেরলে তা ১০,০০০ পার করেছে। দেশের প্রথম রাজ্য, যেখান থেকে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল, সেখানে ফের একবার লাগামহীন করোনা সংক্রমণ। দেশের মোট আক্রান্তের ৪০ শতাংশেরই খোঁজ মিলছে এই রাজ্য থেকে।

বিগত এক সপ্তাহেই কেরলে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১০ হাজার ৫৯৩ জন, যার জেরে গড় আক্রান্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ শতাংশে। হঠাৎ ফের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ খুঁজছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন চিকিৎসক-গবেষকরা।

করোনা পরিস্থিতির মাঝেও অফলাইনে অর্থাৎ শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিরুবনন্তপুরমের এপিজে আব্দুল কালাম টেকলিক্যাল ইউনিভার্সিটি। এর প্রতিবাদেই পড়ুয়ারা আন্দোলনে নেমেছিল। জানা গিয়েছে, পরীক্ষার পরই কমপক্ষে ৩৫ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

পড়ুয়াদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার জন্য রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকেই দোষ দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। কেরলে টিকাকরণের হার বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় অনেক দ্রুত হলেও ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনাকেই বাড়িয়ে দিয়েছে। ১৮ উর্ধ্বদের ২০ শতাংশই টিকা পেলেও এখনও বহু মানুষ টিকা পাননি। সেখান থেকেই সংক্রমণ গতি পাচ্ছে বলে ধারণা চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞদের।

সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা এখনও সীমিত রয়েছে বলে জানান এক চিকিৎসক। তিনি বলেন, “বর্তমানে এক লাখেরও বেশি সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার ৫০ শতাংশেরও কম। ভেন্টিলেটর বা আইসিইউতেও এখনও ৫০ শতাংশ শয্যা ফাঁকা রয়েছে। ”

এ দিকে, কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জও বলেন, “আচমকা সংক্রমণ বৃদ্ধি হচ্ছে। প্রথম ঢেউয়েও একই রকম চিত্র দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয় ঢেউ কেরলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয়। সেই সময় দৈনিক সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার। রাজ্যের অধিক সংখ্যক জনসংখ্যার কারণেই হয়তো ফের একবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।”  আরও পড়ুন: লোকসভার ভিতরেও ‘খেলা হবে’ স্লোগান তৃণমূলের, নিন্দায় সরব বিজেপি 

 

Next Article