Kerala Student Death: কোচিং সেন্টারের পাশের দোকানে ‘শওর্মা’র নামে পচা মাংস বিক্রি! বিষক্রিয়ায় মৃত ১, অসুস্থ ১৮
Kerala Student Death: জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এভি রামদাস জানিয়েছেন, এখনও অবধি ১৮ পড়ুয়ার অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর মিলেছে। মূলত তিনটি হাসপাতালে সংক্রমিত পড়ুয়াদের ভর্তি করানো হয়েছে।
তিরুবনন্তপুরম: টিউশনের বাইরেই ফলের রসের দোকান। কাঠফাটা গরমে স্বস্তি পাওয়ার জন্য প্রায়সময়ই ওই দোকানে ভিড় জমাত স্কুল ও কলেজের পড়ুয়ারা। সম্প্রতিই সেখানে আবার আরবের জনপ্রিয় খাবার ‘শাওর্মা’ (Shawarma) বিক্রি শুরু হয়েছিল। পড়া শেষ হওয়ার পর সব বন্ধুরা মিলে দোকান থেকে সেই খাবারই খেয়েছিল। আর তাতেই হল বিপত্তি। ওই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ১৮ জন পড়ুয়া। রবিবার এক পড়ুয়ার মৃত্যুও হয়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কেরলে (Kerala)। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে ওই খাবারের দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে পড়ুয়ারা নির্দিষ্ট ওই দোকান থেকে খাবার খেয়েছিল। বাড়ি যাওয়ার পথেই একাধিক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রায় ২০ জনকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে, সকলেরই খাবারে বিষক্রিয়ার উপসর্গ রয়েছে। রবিবার ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্য়ু হয় কানহাগঢ়ের জেলা হাসপাতালে। যদিও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বাকি পড়ুয়ারা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। মৃত ওই কিশোরীকে দেরীতে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল, সেই কারণে চিকিৎসার বিশেষ সুযোগ পাওয়া যায়নি।
Kerala | A student dies after consuming rotten shawarma in Kasaragod district. A total of 18 students have been admitted to the district hospital. The shop has been closed, cook taken into custody. Food poisoning may be the primary reason for this: M Rajagopalan, MLA Trikaripur pic.twitter.com/LKYdZo30oN
— ANI (@ANI) May 1, 2022
কাসারগঢ়ের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক এভি রামদাস জানিয়েছেন, এখনও অবধি ১৮ পড়ুয়ার অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর মিলেছে। মূলত তিনটি হাসপাতালে সংক্রমিত পড়ুয়াদের ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে সকলের অবস্থা স্থিতিশীল। তবে আরও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিগত কয়েকদিনে যারা ওই দোকান থেকে খাবার খেয়েছিলেন, তাদেরকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে একসঙ্গে এত সংখ্যক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকেরাও তদন্ত শুরু করেছেন। জানা গিয়েছে, ওই বার কাম বেকারির কাছে খাদ্য সুরক্ষা লাইসেন্সও নেই। ওই দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ও দোকানটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী এমভি গোবিন্দন অসুস্থ পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওই দোকানের খাবার খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছে পড়ুয়ারা। বাসি মাংস দেওয়া হচ্ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্যজুড়েই সমস্ত ছোটখাটো দোকানগুলিতে খাদ্যসুরক্ষাবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: PM Modi Europe Visit: বছরের প্রথম বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী, বিশেষ নজর ইউক্রেন পরিস্থিতিতেও