লে: লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভেড়া চরাতে গিয়েছিলেন এক দল রাখাল। ওই পশু প্রতিপালনকারীরা লাদাখেরই বাসিন্দা। কিন্তু ভেড়া নিয়ে চরাতে গিয়ে চিনের সেনার সামনে পড়েছিলেন তাঁরা। পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) তাদের জানায়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে ওই এলাকায় ভেড়া না চরাতে। কিন্তু চিনা সেনার এই ধমকিতে গুটিয়ে যাননি ওই পশু প্রতিপালকরা। চিনা সেনার চোখে চোখ রেখে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতের এলাকাতেই ভেড়া চরাচ্ছেন তাঁরা। এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাদাখের ওই রাখালদের সাহসিকতায় মুগ্ধ নেটিজেনরা। যদিও গবাদি চারণ নিয়ে রাখালরা চিনা সেনার মুখোমখি হলেও সেখানে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই লাদাখের পরিস্থিতি দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে। পূর্ব লাদাখে চিন সীমান্তে ভারতীয় এবং চিনা সেনার হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছিল। তার পর থেকেই ওই এলাকায় সেনার নজরদারি কয়েক দিন বেড়েছে। এই পরিস্থিতির জেরে ওই উপত্যকা এলাকায় পশুদের চরাতে নিয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি এখন শান্ত থাকায় সেখানে গিয়েছিলেন ওই রাখালরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে যেভাবে তাঁরা পিএলএ-কে জবাব দিয়েছে, তা প্রবল প্রশংসিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
It is heartening to see the positive impact made by @firefurycorps_IA
in Border areas of Eastern Ladakh in facilitating the graziers & nomads to assert their rights in traditional grazing grounds along the north bank of Pangong.
I would like to thank #IndianArmy for such strong… pic.twitter.com/yNIBatPRKE— Konchok Stanzin (@kstanzinladakh) January 30, 2024
লাদাখের চুষুল এলাকার কাউন্সিলর নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে এই ভিডিয়ো এবং কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানেই এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই সাহসিকতা দেখে সেনা এবং সাধারণ মানুষের সম্পর্কের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন তিনি। এ বিষয়ে আর্মি চিফ জেনারেল মনোজ পাণ্ডে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, “এক বছরের বেশি সময় ধরে ওই এলাকায় কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। সেনা স্তরে আমাদের কতাবার্তা অনেকটাই সফল হয়েছে। কূটনৈতিক এই আলোচনা বজায় থাকবে আগামী দিনে। পরিস্থিতি স্টেবল থাকলেও এলাকা সেনসিটিভ।”