নয়া দিল্লি: মমতার আর্থিক বঞ্চনার জবাব দিতে আসরে নামল বিজেপি। বুধবার সকালে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বাংলার বকেয়া টাকার দাবি জানান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরে সুদীপকে ক্যাগ রিপোর্ট পড়ে দেখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। কী আছে সেই ক্যাগ রিপোর্টে, যা দেখে কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিচ্ছে? কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই ক্যাগ রিপোর্ট সামনে আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বকেয়া টাকার দাবিতে ধরনায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তার আগে সুকান্ত মজুমদার যে তথ্য প্রকাশ্য়ে আনলেন, তাতে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ করেছেন, প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। সেই টাকা কোথায় গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সুকান্তর দাবি, ‘পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট’-এ প্রকল্পের টাকা নেওয়া হয়েছে, এমন কথাই উল্লেখ করা হয়েছে ক্যাগ রিপোর্টে। সুকান্ত বলেন, ‘এটা দুর্নীতির নতুন পন্থা। সাধারণের টাকা কোথায় খরচ করা হয়েছে, তা কারও জানা নেই।’
সুকান্ত বলেন, রাজ্য সরকারকে যে কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয়। তাতে বোঝা যায়, যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, সেই টাকা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজেই খরচ হয়েছে। কিন্তু ক্যাগ রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়নি।
শিক্ষা থেকে গ্রামোন্নয়ন সব দফতরে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন সুকান্ত। আরও বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। তিনি তাঁর বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। এমনকী মনমোহন সিং সরকারের আমলে যে টু জি স্ক্যামের অভিযোগ উঠেছিল, তার সঙ্গেও বাংলার তুলনা করেছেন গৌরব ভাটিয়া। তঁর দাবি, বাংলায় যা হয়েছে তা ‘মাদার অব অল স্ক্যাম।’