লাদাখে পুরোপুরি সেনা সরাতে বৈঠকে আগ্রহী ভারত-চিন

বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব (Anurag Srivastava) জানান, সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা বজায় রাখা হবে। পূর্বের আলোচনাগুলিই দুই দেশকে একে অপরের অবস্থান সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করেছে।

লাদাখে পুরোপুরি সেনা সরাতে বৈঠকে আগ্রহী ভারত-চিন
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 18, 2020 | 8:52 PM

নয়া দিল্লি: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা(Line of Actual Control) সংঘর্ষস্থলগুলি থেকে দুই পক্ষের সেনা হটানোর প্রক্রিয়া (disengagement process) সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে শীঘ্রই কূটনৈতিক স্তরে (Diplomatic Talk) আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত (India) ও চিন (China)। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ভার্চুয়াল বৈঠকে দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও যাবতীয় নিয়মাবলী মেনে নিজেদের সেনাবাহিনী সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যত শীঘ্র সম্ভব বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে।

বিদেশমন্ত্রকের (MEA) তরফে জানানো হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর ডব্লিউএমসিসি (WMCC)-র বৈঠকের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয়েছে, তা ভার্চুয়াল বৈঠকে খতিয়ে দেখা হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, “বিদেশমন্ত্রী ও বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠকে যৌথ সম্মতিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বিভিন্ন সংঘর্ষস্থল থেকে সেনা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তা বজায় রাখা হবে। ১২ অক্টোবর ও ৬ নভেম্বর সপ্তম ও অষ্টম দফার বৈঠকের ফলেই ঘটনাস্থানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে দুই দেশের তরফেই।”

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়,”বৈঠকে দুই দেশই যত দ্রুত সম্ভব পরবর্তী বৈঠক আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে যাতে যাবতীয় নিয়মাবলী ও চুক্তি মেনেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরিয়ে লাদাখ অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়।”

আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিন আবশ্যক নয়, বিশদে নিয়ম-নীতি জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক

বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকদফা কূটনৈতিক ও সেনা স্তরে বৈঠক হলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও তার আশেপাশের অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণরূপে সেনাবাহিনী সরিয়ে ফেলা হয়নি। বর্তমানে প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় সেনা পূর্ব লাদাখে মোতায়েন রয়েছে। চিনের তরফেও প্রায় একই সংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনা অধিকর্তারা।

বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব (Anurag Srivastava) জানান, সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা বজায় রাখা হবে। পূর্বের আলোচনাগুলিই দুই দেশকে একে অপরের অবস্থান সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করেছে। তিনি বলেন,”আমরা আশা করছি যে পরবর্তী বৈঠকগুলির মাধ্যমে একটি পারস্পরিক বোঝাপড়ার সাহায্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সংঘর্ষস্থলগুলি থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং দ্রুত শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।”

আরও পড়ুন: কবে স্বাভাবিক হবে ট্রেন চলাচল, জানে না রেলওয়ে