ঝাড়খণ্ড : পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির আরও একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হল লালু প্রসাদ যাদবকে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে এই নিয়ে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত পঞ্চম মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হল। মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা অবৈধভাবে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার সিবিআই আদালতে বিচারপতি সিকে শশী এই রায় দেন। লালু প্রসাদ যাদবের উপস্থিতিতেই আদালত এই রায় দিয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এমন ৯৮ জন এ দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, যাঁদের মধ্যে ২৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ৩৫ জনকে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই ৩৫ জনের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা তৎকালীন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান জগদীশ শর্মা।
এর আগে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আরও চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লালু। মোট ৯৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অবিযোগ রয়েছে লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে। চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৩৭.৭ কোটি ও ৩৩.১৩ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ, দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৮৯.২৭ কোটি টাকা ও দুমকা ট্রেজারি থেকে ৩.৭৬ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। দুমকা কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় লালু প্রসাদকে ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানাও দিতে হয়।
এখনও পর্যন্ত লালুকে মোট ১৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন তিনি। সাড়ে তিন বছর জেলে কাটিয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালের ডিসেম্ব মাস থেকে তাঁর জেল হয়। তবে কারাবাসের বেশিরভাগ সময়টাই তিনি কাটিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। যদি এই মামলায় তাঁকে ফের তিন বছরের বেশি সময়ের সাজা দেওয়া হয়, তাহলে লালুকে আবারও ফিরতে হবে জেলে। জানা গিয়েছে সিবিআই ওই মামলায় ১৭০ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দিয়েছিল। লালু প্রসাদ ছাড়াও প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, পশুপালন দফতরের সচিব বেক জুলিয়াস, পশুপালন দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ড. কে এম প্রসাদ ওই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত।
বর্তমানে লালুর অনুপস্থিতিতে আরজেডির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদব। বর্তমানে বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী। তবে এখনও দলের সর্বেসর্বা লালুই। মঙ্গলবার আদালতের রায় সামনে আসার পর আদালত ন্যয়বিচারই দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জেডিইউ নেতা নীরজ কুমার।
আরও পড়ুন : Dawood Ibrahim: অর্থপাচার মামলায় একাধিক স্থানে হানা, দাউদের বিরুদ্ধে এবার নামল ইডি
আরও পড়ুন : Sansad TV: নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ইউটিউবে ‘ব্লক’ করা হল সংসদ টিভি