নয়া দিল্লি: দেশে ফের করোনার বাড়াবাড়ি। আবারও রোজ রেকর্ড তৈরি করছে করোনা (COVID) সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৪৬ জন। লাগাতার বাড়তে থাকা এই করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে কমাতে হবে ভিড়, মানতে হবে করোনাবিধি ও যত দ্রুত নিতে হবে ভ্যাকসিন। এমনটাই জানালেন এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানান, এখন করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে মূলত স্ট্রেন ও করোনাবিধি না মানার ফলে।
এরকম চললে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হবে ভারত, এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন রণদীপ গুলেরিয়া। এক সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন আসার পর থেকে মানুষ ভাবছে করোনা মহামারী শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই অনেকে মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছেন। যা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সামনে ফেলছে ভারতকে। রণদীপ বলেন, “জমায়েতে কেউ মাস্ক পরছেন না। যার ফলে এক একটি জমায়ের সুপার স্প্রেডার হয়ে উঠছে।”
করোনা পরীক্ষা, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ও আইসোলেশনেও ঘাটতি হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ভাইরাস বারবার নিজের রূপ বদলাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশে হানা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রিটেন-সহ একাধিক স্ট্রেন। এই স্ট্রেনগুলির ফলেও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মত রণদীপের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুহার বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশও করেছেন এইমস প্রধান।
দেশে এখন অনুমোদিত করোনা প্রতিষেধক দু’টি। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের মাধ্যমে দেশে করোনা টিকাকরণ হচ্ছে। তবে কয়েক দিন আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার একটি ট্রায়ালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তাদের প্রতিষেধক দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কম কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। সে বিষয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল, তারা ভ্যাকসিনে উন্নতি আনার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে রণদীপ গুলেরিয়া জানান, যেহেতু সে সংক্রান্ত বিস্তর তথ্য এখনও হাতে নেই। তাই এখন করোনা টিকাকরণ চালিয়ে যেতে হবে। তার সঙ্গে সঙ্গেই স্ট্রেনের নিরিখে ভ্যাকসিনে উন্নতি ঘটানোর জন্যও প্রস্তুত হওয়ার কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের প্রাণের ঝুঁকি, মামলা স্থানান্তরিত করার চিন্তাভাবনা আদালতের