‘আইন মানতে হবে’, প্রথম দিনই টুইটারকে হুঁশিয়ারি নয়া আইটি মন্ত্রীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: সুমন মহাপাত্র

Jul 08, 2021 | 2:45 PM

দায়িত্ব নিয়েই তাঁর হুঁশিয়ারি, "দেশের আইনই শেষ কথা। টুইটারকে তা মানতে হবে।"

আইন মানতে হবে, প্রথম দিনই টুইটারকে হুঁশিয়ারি নয়া আইটি মন্ত্রীর
ছবি - পিটিআই

Follow Us

নয়া দিল্লি: টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের দ্বৈরথ অব্যাহত। বারবার ডিজিটাল আইন নিয়ে কেন্দ্রের তোপের মুখে পড়েছে জ্যাক ডোরসের সংস্থা। টুইটারকে দেশের আইন মানতে হবে। এই দাবিতেই বারবার টুইটারকে (Twitter) হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল কেন্দ্র। রবিশঙ্কর প্রসাদের চেয়ারে বসে প্রথম দিন থেকেই সেই মেজাজ বজায় রাখলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। দায়িত্ব নিয়েই তাঁর হুঁশিয়ারি, “দেশের আইনই শেষ কথা। টুইটারকে তা মানতে হবে।”

দেশে নয়া ডিজিটাল আইন কায়েম হওয়ার পর থেকেই টুইটারের সঙ্গে একাধিকবার সংঘাত হয়েছে কেন্দ্রের। নয়া ডিজিটাল আইনের শর্ত প্রথমে না মানতে চাইলেও পরে কেন্দ্রের শেষ নোটিসে সেই শর্ত মানতে বাধ্য হয় টুইটার। তবু শর্ত মতো গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করেনি টুইটার। প্রথম গ্রিভেন্স অফিসার ধর্মেন্দ্র চতুর কেন্দ্রের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ কেন্দ্র জানিয়েছিল কোনও তৃতীয় পক্ষের ব্যক্তি এই স্থায়ী পদে থাকতে পারবেন না। এরপর মার্কিন কর্মচারী জেরেমি কেসেল টুইটারের গ্রিভেন্স অফিসার হয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নীতিতে সাফ বলা রয়েছে, এই পদে থাকতে পারবেন একজন ভারতীয়ই। তাই সেই নিয়োগও নিয়মের বাইরে।

এরপর আদালতে টুইটার জানিয়েছে, ৮ সপ্তাহের মধ্যে তারা স্থায়ী গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করবে। ১১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম কম্প্লায়েন্স রিপোর্ট প্রকাশ করারও কথা জানিয়েছে টুইটার। তবে প্রথম দিনই যেভাবে টুইটারকে হুঁশিয়ারি দিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব, সেখান থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন কেন্দ্রের হয়ে যথেষ্ট কঠোর পদক্ষেপ করবেন তিনি। উল্লেখ্য, আইটি মন্ত্রীর পাশাপাশি দেশের রেলমন্ত্রকেরও দায়িত্বে অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি ওড়িশা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ। এর আগে আমলা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরও পড়ুন: পুরনো টুইটে একের পর এক ‘ভুল’, ট্রোলের শিকার নয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Next Article