Primary Recruitment Scam: ‘প্রাইমারি নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে’, শীর্ষ আদালতে ‘ভুল’ স্বীকার পর্ষদের আইনজীবীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

May 10, 2023 | 9:48 PM

Supreme Court: পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত স্বীকার করে নেন, “এটা ভুল হয়েছে। ২৭০ জনের মধ্যে দুজনকে যদি ভুল করে নিয়োগ করা হয়ে থাকে তাহলে তাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হোক। তদন্ত চলছে, সত্য প্রকাশ পাবে।” সঙ্গে সঙ্গেই বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া বলেন, “এটা শুধু ভুল নয়, বড় ভুল।”

Primary Recruitment Scam: প্রাইমারি নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে, শীর্ষ আদালতে ভুল স্বীকার পর্ষদের আইনজীবীর
ফাইল ছবি

Follow Us

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। বুধবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে হয়েছে সেই মামলার শুনানি। শুনানি চলাকালীন পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত মেনে নিয়েছেন প্রাথমিকে অ্যাসিট্যান্ট টিচার নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। টেটের দুই উর্দু পরীক্ষার্থী কীভাবে বাংলার অতিরিক্ত নম্বর পেলেন এবং তার জেরে বাংলা স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পেলেন? এই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতিরা। সেই প্রশ্নের জবাবে পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত স্বীকার করে নেন, “এটা ভুল হয়েছে। ২৭০ জনের মধ্যে দুজনকে যদি ভুল করে নিয়োগ করা হয়ে থাকে তাহলে তাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হোক। তদন্ত চলছে, সত্য প্রকাশ পাবে।” সঙ্গে সঙ্গেই বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া বলেন, “এটা শুধু ভুল নয়, বড় ভুল।”

মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পরে সাত মাস কেটে গিয়েছে৷ শীর্ষ আদালতে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই৷ সেখানে বেআইনি আর্থিক লেনদেন নিয়ে একটি শব্দও লেখা হয়নি৷ তাহলে দুর্নীতির অভিযোগে আমাদের চাকরি খারিজ করা হল কী করে? সুপ্রিম কোর্টে এই প্রশ্ন তুলেছেন চাকরি হারানো ব্যক্তিদের আইনজীবী পি এস পাটোয়ালিয়ার৷ এই মর্মেই পাটোয়ালিয়ার প্রশ্ন, “যে ওএমআর শিটে গরমিলের অভিযোগে ২৭০ জনের চাকরি খারিজ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি, সেই ওএমআর শিটের ভিত্তিতে কিভাবে ১৮৬ জনের চাকরি বহাল করা হল? একই বিচারের মঞ্চে দুটি মানদণ্ড হয় কী করে?” তাঁর সওয়ালের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার প্রশ্ন, “একজন ৬ নম্বর পেয়ে ৯০-এ পৌঁছলে সেটা যোগ্য মনে করছেন হাইকোর্টের বিচারপতি, অথচ একজন ১ নম্বর পেয়ে ৯০ পেলেই তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হচ্ছে? দুটোই তো ফ্রড হতে পারে।” এর পর বিচারপতিরা সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “একই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দু’রকমের রায় দেওয়া হল কী করে?” সিবিআই-র আইনজীবী এএসজি এসভি রাজু এর কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি৷ তাঁর দাবি, “আমরা মাইক্রো বা ম্যাক্রো নয়, ন্যানো লেভেলে তদন্ত করছি।”

আগামিকালও এই মামলার শুনানি হবে দেশের শীর্ষ আদালতে। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও শুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চেই হবে শুনানি। বাগ কমিটির রিপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে বৃহস্পতিবার শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।

Next Article