শ্রীনগর: বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে উপত্যকা। পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিদের আক্রমণে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকরাও প্রাণ হারিয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরেই জঙ্গি সংগঠন ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে লাগাতার কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে। জঙ্গি দমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার, জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার এর শীর্ষ কমান্ডর সহ আরেক জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার, দুটি পৃথক সংঘর্ষে দুই জঙ্গিকে খতম করেন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা
জানা গিয়েছে, শ্রীনগররের শালিমার গার্ডেনের নিকট ৩০ বছর বয়সী লস্কর কমান্ডার সালিম প্যারায়কে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, ওই জওয়ান বন্দিপোরা জেলার হাজিনের বাসিন্দা।
কাশ্মীর রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বিজয় কুমার জানিয়েছেন, ” কুখ্যাত লস্কর কমান্ডার সালিম প্যারায়কে খতম করেছে শ্রীনগর পুলিশ।” পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, শ্রীনগরের শালিমারবাগে পাকিস্তানের বাসিন্দা হাফিজ ওরফে হামজা নামক আরেকজন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। “বন্দিপোরাতে দুই পুলিশকর্মীকে হত্যা করার ঘটনায় জড়িত এই জঙ্গি। এরপরই সেখান থেকে তিনি শ্রীনগরের হারওয়ান এলাকাতে চলে আসেন।” জানিয়েছেন আইজি বিজয় কুমার।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সালে লস্কর ই তৈবাতে যোগ দেওয়ার আগে হাজিন টাউনে প্যারায় গাড়ি সারাইয়ের কাজ করতেন। গত বছর অগস্ট মাসে, পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় তাঁর নাম ছিল। পুলিশ জানিয়েছে ওই মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার অন্তর্ভুক্ত বেশিরভাগ জঙ্গিকেই নিকেশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বানচাল করেছে সেনা বাহিনী। জম্মু কাশ্মীরে পুঞ্চ জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। সেই এলাকা নিরাপত্তার কাজে মোতায়েন থাকা বাহিনীর জওয়ানরা বুঝতে পারেন অন্ধকারকে কাজে লাগিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। সেনা আধিকারিক সূত্রে খবর, বুঝতে পেরেই অনুপ্রবেশে জঙ্গিদের বাধা দেওয়া হয় বাধা পেয়ে পাক অধীকৃত কাশ্মীরে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা।