নয়া দিল্লি: নারদ মামলার জল ফের একবার গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যদিও শাস্তির খাঁড়া ঝুলছে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েটের উপর। এই অবস্থায় একটা প্রশ্ন বারবার করেই উঠছে। অভিযুক্ত তৎকালীন সাংসদদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই? এই প্রশ্ন আরও বেশি করে ওঠার কারণ, অভিযুক্ত তৎকালীন সাংসদদের তালিকায় নাম ছিল অধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এই প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার অবশেষে মুখ খুলেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
ঘটনা হচ্ছে, লোকসভার সাংসদ বা বিধানসভার বিধায়কদের গ্রেফতার করতে গেলে সংশ্লিষ্ট আইনসভার স্পিকারের অনুমতি নিতে হয়। সেই মতো অভিযুক্ত সাংসদদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য লোকসভার বর্তমান স্পিকার ওম বিড়লার কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সেই আবেদনে সায় দেওয়া হয়নি। কেন? প্রশ্ন উঠলে বৃহস্পতিবার স্পিকার জানান, এই বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই কমিটির সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। যে কারণে সিদ্ধান্তভার নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়টি আইন মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসেই নারদকাণ্ডে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ও দুই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তিন বিধায়ককে নারদ মামলায় গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্ত শেষ হয়ে চার্জশিট জমা পড়ার দিনই গ্রেফতার করা হয় ৪ অভিযুক্ত ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এ ক্ষেত্রে স্পিকারের কাছে থেকে অনুমতি না নিয়ে সম্মতি নেওয়া হয়েছিল রাজ্যপালের কাছে থেকে। যেহেতু যে সময় এই অনুমতি নেওয়া হয় তখনও নতুন বিধানসভা গঠিত হয়নি, সেই কারণে রাজ্যপালের অনুমতি সাপেক্ষেই এই গ্রেফতারি হয়।
আরও পড়ুন: ‘পৃথক উত্তরবঙ্গ’ বিতর্কে সুর সপ্তমে তৃণমূলের, পদ্মকে তুলোধোনা করে শুরু #BengalStandsUnited প্রচার
তখন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলতে থাকে, এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নয় কেন? নারদ স্টিং অপারেশনে তো তাঁকেও টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল সাংসদ ছিলেন তিনি। তারপরই জানা যায়, সিবিআই অভিযুক্ত সাংসদদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার আবেদন জানালেও স্পিকারের সম্মতি মেলেনি। তাই তদন্ত শুরু করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দাপুটে ভ্যারিয়েন্ট হওয়ার পথে ডেল্টা, সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা