নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে ফিরতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদীই। বুধবার (৫ জুন), রাতের মধ্যে প্রায় স্পষ্ট হয়ে গেল। এদিন সন্ধ্যায় প্রায় পরপর ছিল এনডিএ এবং ইন্ডিয়া – দুই পক্ষের বৈঠক। এনডিএ-র বৈঠকে এনডিএ-র সকল শরিক দল নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই আস্থা রেখেছেন। তাঁকেই ফের জোটের নেতা হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে, তারাও বিরোধী আসনে বসারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কাজেই, নরেন্দ্র মোদীর ফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে আর কোনও কাঁটা রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন), ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছিল, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ২৪০ আসনেই আটকে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। এনডিএ শরিকদের সমর্থনে তারপরও সরকার গঠন আটকাতো না। তবে, ইন্ডিয়া জোটও ২৩৪ আসন পেয়েছে। তাই, তাদেরও সরকার গঠনের সম্ভাবনা ছিল। তার জন্য এনডিএ শরিকদের ভাঙাতে হত। শোনা গিয়েছিল, জেডিইউ এবং টিডিপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন শরদ পওয়ার। কিন্তু, এদিন এনডিএ-র বৈঠকে সকল শরিক দলই নরেন্দ্র মোদীর প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। এরপরই, ইন্ডিয়া জোটের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেল, বৈঠকে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা বিরোধী আসনেই বসবেন। সরকার গঠনের জন্য আর কোনও উদ্যোগ নেবে না।
ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে জানিয়েছেন, ঘণ্টা দুয়েক আলোচনা করেছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের। তিনি বলেন, “সংবিধান বাঁচানোর লক্ষ্যে মানুষ ভোট দিয়েছে। ইন্ডিয়া জোট মোদির স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়বে।”
এদিনের বৈঠকে বিভিন্ন দলের ৩৩ জন নেতা ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কেসি বেনুগোপাল। এছাড়া ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন, সপা প্রধান অখিলেশ যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত, সিপিআই-এর ডি রাজা, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন, আপ নেতা সঞ্জয় সিং, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা, সিপিআই (এমএল) নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য প্রমুখ।