MP Child Pushing Cart Video: ভিডিয়ো: অ্যাম্বুলেন্সের পয়সা নেই, বাবাকে ঠেলাগাড়িতে শুইয়ে হাসপাতালে ছুটল ৬ বছরের কিশোর
MP Video: সবজে নীল রঙের শার্ট ও পাউডার ব্লু ডেনিম পরা ছয় বছরের কিশোরকে দেখা যায় কোনওমতে বহু কষ্ট করে একটি ঠেলাগাড়ি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। ওই কিশোরের মাকেও ঠেলাগাড়ির অপর প্রান্ত থেকে ঠেলাগাড়িটি টানতে দেখা যায়।
ভোপাল: বয়স মাত্র ছয়। এই ছোট্ট কাঁধের উপরই রয়েছে গুরুভার। অ্যাম্বুলেন্স জোটেনি, অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাই নিজেকেই ঠেলে নিয়ে যেতে হল ঠেলাগাড়ি (Push Cart)। এক নিমেষেই যেন শৈশব জীবন পার করে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠতে হল। এই দৃশ্য সামনে আসতেই ফের একবার প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য় প্রদেশে। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ছয় বছরের এক কিশোর একটি ঠেলাগাড়ি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। ওই গাড়িতে শুয়ে রয়েছেন এক মাঝবয়সী ব্যক্তি। ঠেলাগাড়ির অপর প্রান্ত ধরে টানছেন ওই কিশোরের মা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ওই ভিডিয়ো। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ফোন করেও অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায়, নিজেরাই ঠেলাগাড়ি জোগাড় করে তাতে ওই কিশোরের বাবাকে শুইয়ে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মধ্য প্রদেশের সিঙ্গরাউলির। সবজে নীল রঙের শার্ট ও পাউডার ব্লু ডেনিম পরা ছয় বছরের কিশোরকে দেখা যায় কোনওমতে বহু কষ্ট করে একটি ঠেলাগাড়ি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। ওই কিশোরের মাকেও ঠেলাগাড়ির অপর প্রান্ত থেকে ঠেলাগাড়িটি টানতে দেখা যায়। টলোমলো পায়েই প্রায় তিন কিলোমিটার বাবাকে ঠেলাগাড়িতে শুইয়ে ঠেলে নিয়ে যায় কিশোর।
शायद मध्य प्रदेश की एंबुलेंस गरीबों के लिए नहीं है, इसलिए मरीज़ को ठेले पर लिटाकर अस्पताल ले जाया जा रहा है!!
वीडियो मे मरीज़ की पत्नी और बेटे ठेले को धक्का लगाकर ले जा रहे है!#MadhyaPradesh #सिंगरौलीhttps://t.co/7uIlBCDFZq pic.twitter.com/VD6N5nSUow
— Sadaf Afreen صدف (@s_afreen7) February 11, 2023
ওই কিশোরের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ১০৮ নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর অনুরোধ করলেও, হাসপাতালের তরফে সাফ জানানো হয় কোনও অ্যাম্বুলেন্স নেই। রোগীকে নিজেদেরই হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার মতো সামর্থ্য নেই, তাই বাধ্য হয়ে ঠেলাগাড়িতে ওই ব্যক্তিকে শুইয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দেন। ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই জেলা প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।