Indore Temple Tragedy: ছেলেটা আমার হাতটা খাবলে ধরেছিল, হঠাৎই ফস্কে গেল… মৃত্যুপুরীর ভয়ঙ্কর স্মৃতি মনে করে কেঁদে ফেললেন বাবা
Madhya Pradesh: রবি পাল জানান, আচমকাই যেন পায়ের তলার মাটি সরে যায়। হুড়মুড়িয়ে একেবারে নীচে কুয়োর ভিতর। তিনি সাঁতার জানতেন।
ইনদওর: বেলেশ্বর মহাদেব ঝুলেলাল মন্দিরে রামনবমীর দিন ভয়াবহ দুর্ঘটনায় (Indore Tragedy) প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন। মন্দিরের একটি কুয়ো, যা ঢাকা ছিল সিমেন্টের ঢাকনা দিয়ে, মানুষের পায়ের চাপে হঠাৎই তা ভেঙে ঢুকে যায়। সেখানেই একের পর এক পুণ্যার্থী গিয়ে পড়েন। কেউ সেখানেই শেষ, কেউ আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়টুকু দেন। এই দুর্ঘটনায় কেউ মা, বাবাকে হারিয়েছেন। কেউ হারিয়েছেন সন্তানকে, কেউ আবার স্ত্রী বা স্বামীকে। মধ্য প্রদেশের ইনদওরের নবলখার রবি পাল এরকমই একজন। মা পুষ্পা পাল, স্ত্রী বর্ষা ও ছেলে তন্নুকে নিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার মন্দিরে গিয়েছিলেন। বরাত জোরে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন রবি পাল। কিন্তু এখনও খোঁজ পাননি মা, স্ত্রী, সন্তানের।
রবি পাল জানান, আচমকাই যেন পায়ের তলার মাটি সরে যায়। হুড়মুড়িয়ে একেবারে নীচে কুয়োর ভিতর। তিনি সাঁতার জানতেন। কোনওমতে সাঁতরে তিনি বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে পান। তিনি আবার অন্য একজনকে হাত ধরে টেনেও তোলেন। কিন্তু স্ত্রী, সন্তানকে খুঁজেই পাননি সেই ভয়ঙ্কর মুহুর্তে। দৈনিক ভাস্করকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রবি পাল বলেন, বহু খুঁজেও পরিবারের তিন সদস্যকে পাননি। “ছেলেটা আমার হাতটা খাবলে ধরেছিল। কিন্তু এত লোক একসঙ্গে, কখন যে হাতটা ছেড়ে গেল কিছু বুঝিইনি।” এখন রবিপালের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
পূজা কুকরেজা নামে এক তরুণী জানান, কাকিমার সঙ্গে পুজোয় গিয়েছিলেন তিনি। ভিড়ের জন্য কাকিমার হাত ধরেই ছিলেন। কিন্তু কুয়োয় পড়তেই ছিটকে যান দু’জন। উদ্ধারকারীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে এখনও কাকিমার খোঁজ পাননি পূজা। পূজা জানান, মন্দিরে ঢোকার সময় এত ভিড় দেখে তাঁকে একজন বলেন, বাইরেই থাকতে। কিন্তু কাকিমার সঙ্গে ভিতরে যান তিনি। যে যেখানে জায়গায় পান বসে পড়েন।