Madhya Pradesh: বিয়ের পাঁচদিন পর শ্বশুরবাড়ি থেকে সোনা-লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে পালাল সদ্য বিবাহিত দুই বোন

Madhya Pradesh news: বিয়ে হয়েছিল ৫ দিন আগেই। দুই তুতো ভাইকে বিয়ে করেছিল দুই বোন। শ্বশুরবাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা এবং শোনার গয়না নিয়ে পালাল তারা।

Madhya Pradesh: বিয়ের পাঁচদিন পর শ্বশুরবাড়ি থেকে সোনা-লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে পালাল সদ্য বিবাহিত দুই বোন
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2023 | 8:34 PM

ভোপাল: খুড়তুতো দুই ভাইকে বিয়ে করেছিলেন দুই বোন। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমেই তাঁদের আলাপ হয়েছিল। কিন্তু, বিয়ের পাঁচদিনের মধ্যেই দুই নববধূর আসল রূপ দেখা গেল। শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রচুর সোনার গয়না এবং আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। অভিযুক্ত দুই বোন সঞ্জনা এবং অঞ্জলি, উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বাসিন্দা। ৯ জুন, গোয়ালিয়রের থাটিপুর থানা এলাকার দর্পণ কলোনির বাসিন্দা ভারত গুপ্ত এবং তাঁর খুড়তুতো ভাই রোহিত গুপ্তর সঙ্গে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। দুদিন পরই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ভরত ও সঞ্জনা এবং রোহিত ও অঞ্জলি। ভরত জানিয়েছেন, তাঁর পিসির ছেলে বান্টি গুপ্ত এবং জিতু ও লালু নামে তাঁর দুই বন্ধুর মাধ্যমে সঞ্জনা ও অঞ্জলির সঙ্গে তাঁদের আলাপ হয়েছিল। চেনাশোনার মধ্যে বিয়ে করে, এই অবস্থা হবে, তা ভরত ও রোহিত ভাবতেও পারেননি।

ভরত গুপ্ত কাজ করেন মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টে। বিয়ের মাত্র পাঁচ দিন পর, গত বৃহস্পতিবার সকালে তিনি কাজের জন্য হাইকোর্টে চলে যান। এরপরই পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। ভরতের অভিযোগ, তিনি ও রোহিত যখন কাজের জন্য বাইর ছিলেন, সেই সময়ই সঞ্জনা এবং অঞ্জলি তাঁদের বাড়ি থেকে সোনা ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় তাঁদের বাড়িতে শুধুমাত্র ভরতের মা ও দিদি ছিলেন। তাঁরা দুই বোনকে আটকাতে না পেরে, ভরতকে ফোন করে পুরো ঘটনাটা খুলে বলেন। মায়ের ফোন পেয়ে অবিলম্বে ভরত তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। ভরতের অভিযোগ, সঞ্জনা প্রথমে ফোন তোলেনি। একটু পরে সে ফোনটি বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকে আর সঞ্জনা এবং অঞ্জলির কোনও খবর পাননি তাঁরা। তারা কোথায় গিয়েছে, কী করছে – কোনও খবরই পাওয়া যাচ্ছে না।

এরপরই, স্থানীয় থানায় গিয়ে দুই বোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ভরত গুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, সঞ্জনা এবং অঞ্জলির শুধুমাত্র আধার কার্ডগুলি তাঁর কাছে আছে। আধার কার্জের তথ্য অনুযায়ী, যা উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর জেলার হরেনিয়া মহারাজগঞ্জের বরগাদোয়া এলাকার পারস খন্ড গ্রামের বাসিন্দা। ভরতের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সঞ্জনা ও অঞ্জলির খোঁজে উত্তর প্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে মধ্য প্রদেশের পুলিশ। বান্টি গুপ্ত, জিতু এবং লালু – যাদের মাধ্যমে ভরত ও রোহিতের সঙ্গে তাদের আলাপ হয়েছিল, তাদেরকেও জেরা করা হচ্ছে। সঞ্জনা এবং অঞ্জলি এর আগেও বিয়ের ছলনায় এই রকমভাবে কাউকে ধোকা দিয়েছে কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করা হচ্ছে, এই দুই বোনের পিছনে কোনও চক্র আছে কিনা।