Ajit Doval: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থাকলে দেশ ভাগ হত না: অজিত দোভাল
NSA: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু 'ব্যতিক্রমী নেতা এবং ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যক্তি' ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তাঁর কথায়, "সুভাষচন্দ্র বসুর আবেগ ছিল দেশপ্রেম এবং এক মহান ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি।"
নয়া দিল্লি: স্বাধীনতার সময় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhash Chandra Bose) থাকলে দেশ ভাগ হত না। শনিবার দিল্লিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মেমোরিয়ালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত দোভাল। মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, “মহম্মদ আলি জিন্নাহ বলেছিলেন, কেবল একজন নেতাকেই তিনি গ্রহণ করতে পারবেন এবং তিনি হলেন সুভাষচন্দ্র বসু।” এপ্রসঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর উদাহরণও তুলে ধরেন দোভাল (Ajit Doval)। তিনি বলেন, “তিনিই (নেতাজি) একমাত্র নেতা ছিলেন যাঁর মহাত্মা গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার স্পর্ধা ছিল। এবং ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতার ভিক্ষা নিতে খারিজ করে দিয়েছিলেন।”
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কেবল সেই সময়ে নয়, আজও দেশবাসীর বিশ্বাস ও গর্ব বলে জানান অজিত দোভাল। তিনি বলেন, “নেতাজির মানুষের ক্ষমতার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ছিল জনগণের। তিনি লন্ডনে আইসিএস পড়তে যাওয়ার সময় থেকে শুরু করে দেশ ছাড়ার সময় পর্যন্ত সারাজীবন সাহস দেখিয়ে গিয়েছেন। নেতাজি নির্ভীকভাবে ব্রিটিশদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন, যুব বয়সে জাতীয় কংগ্রেস দলে ইস্তফা দিয়েছিলেন, এমনকি মহাত্মা গান্ধীকেও পরাজিত করেছিলেন।”
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ‘ব্যতিক্রমী নেতা এবং ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যক্তি’ ছিলেন বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তাঁর কথায়, “সুভাষচন্দ্র বসুর আবেগ ছিল দেশপ্রেম এবং এক মহান ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি।” রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র সহ গোটা দেশের ব্যবস্থায় নেতাজি সম্পূর্ণ বদল চেয়েছিলেন বলেও মন্তব্য করেন অজিত দোভাল। তিনি বলেন, “নেতাজি বলেছিলেন সম্পূর্ণ স্বাধীনতার সঙ্গে কোনওভাবে আপোস করবেন না। তিনি কেবল রাজনৈতিক পরাধীনতা থেকে স্বাধীনতা চাননি, রাজনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও জনগণের মানসিকতার বদল চেয়েছিলেন, ঠিক যেমন পাখি মুক্তভাবে আকাশে ওড়ে।” দেশের অধিকাংশ মানুষকে নেতাজির অসাধারণ জীবনযাত্রা অনুপ্রাণিত করেছে বলেও জানান অজিত দোভাল।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের নাম বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। নতুন নামকরণ হতে চলেছে পিএম সংগ্রহালয়। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে নেতাজি সম্পর্কে অজিত দোভালের ভূয়সী প্রশংসা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।