মুম্বই: নবরাত্রির উৎসবের মাঝেই আজ স্তব্ধ থাকবে বাণিজ্য নগরী সহ গোটা মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। গত সপ্তাহে উত্তর প্রদেশের লখিমপুরে (Lakhimpur Violence) যে কৃষকমৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে দেশের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েই আজ মহারাষ্ট্র সম্পূর্ণরূপে বন্ধ (Bandh) রাখার ডাক দিয়েছে মহা বিকাশ আগাড়ি জোট (Maha Vikas Aghadi)।
শিব সেনা (Shiv Sena), কংগ্রেস (Congress) ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি(NCP)-র মিলিত সরকার মহা বিকাশ আগাড়ির তরফে এই বনধকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এমনকি, সরকারের জোটের এই তিন দলের তরফেই সাংবাদিক বৈঠক করে এই বনধের ঘোষণা করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক রাজ্যবাসীকে বনধ সমর্থনের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আমি মহারাষ্ট্রের ১২ কোটি মানুষকেই অনুরোধ করছি কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। একদিনের জন্য কাজ বন্ধ রেখে এই বনধকে সমর্থন করুন।” রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত দোকানপাট, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বনধের সমর্থনে সবজি মান্ডিগুলিও বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানান, দলের তরফে পুরদমে চেষ্টা করা হবে বনধকে সফল করতে। তিনি বলেন, “জোটের তিনটি দলই সক্রিয় ভাবে বনধে অংশ নেবে। লখিমপুরে যা হয়েছে, তা সংবিধানের হত্যা। এভাবে আইন অম্যান্য করা এবং দেশের কৃষকদের চক্রান্ত করে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
এদিকে, মুম্বই পুলিশের তরফেও একাধিক পরিকল্পনা বানানো হয়েছে যাতে বনধের কারণে সাধারণ মানুষ সমস্যায় না পড়েন। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও তিন কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুলিশ, ৫০০ হোমগার্ড ও ৭০০ অন্যান্য বাহিনীও মুম্বই পুলিশকে সহযোগিতা করবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে রাজ্যের ট্রেডারর্স ইউনিয়নের তরফে প্রথমে সরকারের ডাকা এই বনধের প্রতিবাদ করা হয়। পরে শিবসেনা ও অন্যান্য দলের নেতাদের অনুরোধে তারা আজ বিকেল ৪টে অবধি রাজ্যজুড়ে সমস্ত দোকান বন্ধ রাখতে রাজি হয়েছে। ট্রেডার্স ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণে গত ১৮ মাসে ব্যবসায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ধীরে ধীরে মুখ তুলে তাকাচ্ছে ব্য়বসা। উৎসবের মরশুমে ভাল বিক্রি হয়, এই সময়ই যদি গোটা একটা দিন বন্ধ রাখা হয়, তবে ব্যবসায় বিপুল ক্ষতি হবে। সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছে যদি কোনও ব্যবসায়ী দোকান খোলা রাখতে চান, তাকে যেন কোনও প্রকার হেনস্থা না করা হয় বা জোর করে দোকান বন্ধ না করানো হয়।
অন্যদিকে, বিজেপির তরফেও জানানো হয়েছে, তারা জোর করে কোনও দোকান বন্ধ রাখতে দেবে না। যদি মহা বিকাশ আগাড়ির কর্মীরা শক্তি দেখায়, তবে বিজেপির কর্মকর্তারাও শক্তি দেখাবে। রাজ্যের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পুলিশের।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: মহাকাশ গবেষণায় একজোট একাধিক বড় সংস্থা, প্রধানমন্ত্রীর হাতেই উদ্বোধন হবে ‘ইসপা’র