Eknath Shinde: ‘আমি উদ্ধবকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু..’, রহস্য ফাঁস করলেন একনাথ শিন্ডে
Maharashtra Crisis: একনাথ শিন্ডে বলেন, "যাঁরা ভোট দিয়ে বিধায়ক নির্বাচিত করেন, তারা চান তাদের এলাকাতে উন্নয়নের কাজ হোক। কিন্তু সেখানে সেরম কোনও কাজ হয়নি।
মুম্বই: শুক্রবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। একনাথ জানিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্য তাঁর পূর্বসুরী উদ্ধব ঠাকরেকে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, কারণ বিজেপি প্রথাগতভাবে শিবসেনার (Shiv Sena) জোটসঙ্গী ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর বিজেপির সঙ্গে থাকা জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে তিনি বিরোধী কংগ্রেস ও এনসিপির হাত ধরে সরকার গঠন করেছিলেন।
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যম আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে একনাথ শিন্ডে বলেন, “কীভাবে বিজেপির বাইরে বেরিয়ে এসে এই জোট তৈরি হয়েছিল এবং কেন হয়েছিল তা মহারাষ্ট্রের মানুষ জেনে গিয়েছে। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্যই এই জোট তৈরি করা হয়েছিল। আমরা শিবসেনার হয়ে বিজেপির সঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করেছিলাম। জনগণ বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকারকে জিতিয়ে এনেছিল। কিন্তু মানুষের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে ২০২০ সালে মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকার তৈরি করা হয়েছিল। আমাদের বিধায়করা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও কোনও লাভ হয়নি।”
একনাথ শিন্ডে বলেন, “যাঁরা ভোট দিয়ে বিধায়ক নির্বাচিত করেন, তারা চান তাদের এলাকাতে উন্নয়নের কাজ হোক। কিন্তু সেখানে সেরম কোনও কাজ হয়নি। সেনা বিধায়করা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আমাদের সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও দলের কর্মীরা কোনওভাবেই খুশি হতে পারছিলেন না। আমাদের অনেকেই উদ্ধবকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম, এমনকী আমিও করেছি, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।”
জুন মাসে সিংহভাগ বিধায়ককে নিয়ে উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন মহারাষ্ট্রের তৎকালীন পুর ও নগরোন্নয় মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। পরবর্তী সময়ে বিজেপির সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন একনাথ। সেরাজ্যের দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সরকার গঠনের পর দলের রাশ নিজেদের হাতে রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন একনাথ শিবির। এখনও দল নিয়ে কোনও মীমাংসা হয়নি। আগামী দিনে মহারাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান এই দলের দ্বন্দ্ব কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।