IND vs SA 4th T20 Match Preview: স্ক্যানারে রিঙ্কু-হার্দিক, জো’বার্গে নির্ণায়ক ম্যাচে RCB পেসারের ‘টস’
India vs South Africa 4th T20I Match Prediction: জিম্বাবোয়েতে এক ম্যাচে হার, আর একটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বেরহায় দ্বিতীয় ম্যাচে। সেঞ্চুরিয়নে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। ভালো পারফরম্যান্সের মধ্যেও চিন্তা একেবারেই নয়, তা বলা যায় না। রিঙ্কু সিং এবং হার্দিক পান্ডিয়া। অন্য দিকে, নজর কোনও এক পেসারের অভিষেকে। যার জন্য কার্যত 'টস' করতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে ভারত। ডারবান, বেরহা, সেঞ্চুরিয়ন হয়ে এ বার জোহানেসবার্গ। অনেকে জো’বার্গও বলে থাকেন। সিরিজ হারার চিন্তা নেই ভারতের। কারণ, চার ম্যাচের সিরিজ। ২-১ এগিয়ে রয়েছে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। জো’বার্গে জিতলে সিরিজ ভারতের, হারলে ড্র। এ বছর ২৫টি টি-টোয়েন্টির মধ্যে ২৩টি জিতেছে ভারত। জিম্বাবোয়েতে এক ম্যাচে হার, আর একটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বেরহায় দ্বিতীয় ম্যাচে। সেঞ্চুরিয়নে জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। ভালো পারফরম্যান্সের মধ্যেও চিন্তা একেবারেই নয়, তা বলা যায় না। রিঙ্কু সিং এবং হার্দিক পান্ডিয়া। অন্য দিকে, নজর কোনও এক পেসারের অভিষেকে। যার জন্য কার্যত ‘টস’ করতে হবে।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট তরুণ ক্রিকেটারদের বার্তা দিয়েছে ভয়ডরহীন খেলার। স্বাধীনতা দিয়েছে। অন্তত ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব পোস্ট ম্যাচে বারবার এমনটাই বলে এসেছেন। প্রথম ম্যাচে সঞ্জু স্যামসন, তিলক ভার্মা সেটা করে দেখিয়েছেন। গত ম্যাচে অনবদ্য সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন তিলক। অভিষেক শর্মা হাফসেঞ্চুরি করেছেন। বোলাররাও ভালো পারফর্ম করছেন। ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদবের রান পাওয়া বাদ দিয়েও জোড়া চিন্তা রয়েছে। রিঙ্কু সিং ও হার্দিক পান্ডিয়ার পারফরম্যান্স।
প্রথম ম্যাচে ছয়ে নামানো হয়েছিল রিঙ্কুকে। ১৬তম ওভারে নেমেছিলেন। সেখান থেকে ফিনিশারের ভূমিকাই পালন করতে হত। ১০ বলে ১১ রানেই তাঁর ইনিংস শেষ। হার্দিক পাঁচে নেমে ৬ বলে ২ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে রিঙ্কুকে সাতে নামানো হয়। দ্বাদশ ওভারেই নামার সুযোগ হয়েছিল। ফলে অনেকটা সময় ছিল তাঁর কাছে। যদিও ইনিংস গড়তে পারেননি। ১১ বলে ৯ রানে ফেরেন। হার্দিক ছয়ে নেমে ৩৯ রান করলেও নিয়েছেন ৪৫ ডেলিভারি! সেঞ্চুরিয়নে গত ম্যাচে ফের ছয়ে নামানো হয় রিঙ্কুকে। ১৩তম ওভারে নেমেছিলেন। ১৩২ রানে চার উইকেট। তাঁর কাছে সুযোগ ছিল ইনিংস সামলানোর। কিন্তু ১৩ বলে ৮ রান। দেশের জার্সিতে শেষ ১০টি-টোয়েন্টিতে মাত্র একটা হাফসেঞ্চুরি। একদিকে যেমন বলা যায়, খুব কম সুযোগ পেয়েছেন, তেমনই বেশ কিছু ম্যাচে সুযোগ কাজেও লাগাতে পারেননি। তাঁকে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অন্য দিকে, হার্দিকের কথাও বলা যাক। পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এই সিরিজে তিন ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৫৯ রান। স্ট্রাইক রেট একশোর মধ্যে। টি-টোয়েন্টির মতো নয়। বোলিংয়েও হতাশ করেছেন। মাত্র একটি উইকেট নিয়েছেন। তিন ম্যাচে বোলিং করেছেন ১০ ওভার। রান দিয়েছেন ৯৯। হার্দিকের মতো অলরাউন্ডারের কাছে যা প্রত্যাশিত নয়। জো’বার্গে এই দুই তারকারই যেন পরীক্ষা।
এই সিরিজে ভারতের স্কোয়াডে তিন নতুন মুখ রয়েছে। এর মধ্যে গত ম্যাচে অভিষেক হয়েছে রমনদীপ সিংয়ের। বাকি রয়েছেন আরসিবিতে এই ফরম্যাটে এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে নজরকাড়া দুই পেসার বিজয়কুমার বিশাখ ও যশ দয়াল। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেলেও খেলার সুযোগ হয়নি বাঁ হাতি পেসার যশের। বিজয়কুমার বিশাখ প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। জো’বার্গে কোনও একজনের ডেবিউ হতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের স্কোয়াড: সূর্যকুমার যাদব (ক্যাপ্টেন), অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, রিঙ্কু সিং, তিলক ভার্মা, জীতেশ শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, রমনদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী, রবি বিষ্ণোই, অর্শদীপ সিং, বিজয়কুমার বিশাখ, আবেশ খান, যশ দয়াল।
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ভারতীয় সময় রাত ৮.৩০, স্পোর্টস ১৮ ও জিও সিনেমায় সম্প্রচার