মুম্বই: দেশে ফের একবার ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে করোনা সংক্রমণ(COVID-19)। এই কঠিন সময়ে যেখানে সকলের একজোট হয়ে লড়ার কথা, তখনও রাজনৈতিক দোষারোপের পালা জারি মহারাষ্ট্রে(Maharashtra)। এ দিন বিজেপি(BJP)-কে পরোক্ষে আক্রমণ করে শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) বলেন, “কিছু নেতা ভোটের আগে চাঁদ-তারার প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু ভোট মিটতেই তারা সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসেন।”
এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “যখনই সামনে নির্বাচন আসে, অনেক নেতাই চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ভোট মিটতেই সেই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে ভুলেও যান। যখন সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করেন যে আপনারা তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তখন তারা বলেন যে সেই সব তো নির্বাচনের সময় বলা হয়েছিল।কিন্তু শিবসেনা এইরকম নয়। তারা এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেয় না, যা পূরণ করা সম্ভব নয়।”
বিজেপিকে নাম না করেই আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “শিবসেনা বরাবরই এইরকম। কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এগিয়ে চলছে সেনা এবং স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে কারা পিছিয়ে রয়েছে।”
মহারাষ্ট্রে ফের একবার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে করোনা ও ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে। দেশের ভিতরে সর্বাধিক ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা মহারাষ্ট্রেই। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শিব সেনা প্রধান বলেন, “চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব। আপনারা কেবল আমাদের প্রতি সমর্থন বজায় রাখুন। আগামিদিনে যদি প্রয়োজন হয়, তবে আমরা অবশ্যই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলব।”
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা অধিবেশনের প্রথমদিনেই মুখ্য়মন্ত্রীর অনুপস্থিতি ঘিরে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। বুধবার বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক চন্দ্রকান্ত পাটিল বলেন, যতক্ষণ না উদ্ধব ঠাকরে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠছেন, ততক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব অন্য কারোর উপরই দেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সার্ভিকাল স্পাইন সার্জারি হয়, এর জন্য তিনি প্রায় তিন সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তবে অসুস্থতা কাটিয়েই মঙ্গলবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্যাবিনেট বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিলেও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই নিয়মের কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে। মুম্বইয়ে করোনার সংক্রমণ লাগামছাড়াভাবে বাড়তে থাকায় ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত শহরের কোনও সমুদ্র সৈকত, খোলা মাঠ, সমুদ্রের ধারে, পার্ক এবং অন্যান্য সমজাতীয় জায়গাগুলিতে আমজনতার যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: RSS worker booked: পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগ, ৫ আরএসএস কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু