‘বাংলাই দেশকে পথ দেখাবে’, গোটা বাঙালি জাতিকে কুর্নিশ উদ্ধবের, পঞ্চমুখ মমতার প্রশংসায়

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Jun 20, 2021 | 12:28 AM

রবীন্দ্রনাথ 'ঠাকুরের একলা চলো'র প্রকৃত অর্থ কী, তা পশ্চিমবঙ্গই বুঝিয়ে দিয়েছে। শনিবার শিবসেনার এক দলীয় বৈঠকে বসে এ রাজ্যের কথা উল্লেখ করে এমনই মন্তব্য করেছেন উদ্ধব ঠাকরে।

বাংলাই দেশকে পথ দেখাবে, গোটা বাঙালি জাতিকে কুর্নিশ উদ্ধবের, পঞ্চমুখ মমতার প্রশংসায়
ফাইল ছবি

Follow Us

মুম্বই: ২ মে-র পরই তিনি কুর্নিশ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘একক লড়াইকে’। এ বার বাংলার দৃষ্টান্তকে সামনে রেখেই নাম না করে বিজেপিকে ঠেকানোর ডাক দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। যেই রাজ্য স্বাধীনতা সংগ্রামকে নতুন পথ দেখিয়েছিল, সেই রাজ্যই দেখিয়ে দিয়েছে ‘ইচ্ছাশক্তি’ থাকলে কী করা যেতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘একলা চলো’র প্রকৃত অর্থ কী, তা পশ্চিমবঙ্গই বুঝিয়ে দিয়েছে। শনিবার শিবসেনার এক দলীয় বৈঠকে বসে এ রাজ্যের কথা উল্লেখ করে এমনই মন্তব্য করেছেন উদ্ধব ঠাকরে।

আর্দশগত সাদৃশ্যের কারণে এক সময় এনডিএ জোটের অন্তর্গত থাকলেও গত কয়েক বছরে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে শিবসেনার। বর্তমানে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ সরকারের এই মুখ্যমন্ত্রীও ২০২৪-এর লড়াই বাংলা ও তৃণমূল নেত্রীকে সামনে রেখেই লড়তে চান, সেটাও বস্তুত পরিষ্কার করে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রীর কাঠামোকে রক্ষার স্বার্থে হোক, বা আঞ্চলিক গরিমাকে তুলে ধরা, গোটা দেশকে বাংলাই পথ দেখাতে পারে, এ দিন বকলমে সেটা স্বীকার করে নেন উদ্ধব।

মহা আগাড়ি জোটের মুখ্যমন্ত্রী দলীয় বৈঠকে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একার জোরে বাংলার নির্বাচন জিতেছেন। সব ধরনের আক্রমণ সত্ত্বেও বাঙালি তাঁদের ইচ্ছাশক্তি দেখিয়ে দিয়েছে। বন্দে মাতরাম, এই দুই শব্দবন্ধের মাধ্যমে যে বাংলা স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন দিশা দেখিয়েছিল, সেই বাংলা দেখিয়ে দিয়েছে স্বাধীনতার জন্য কী করতে হয়।” তিনি আরও বলেছেন, “আঞ্চলিক গরিমা যখনই বিপদের সম্মুখীন হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো যখনই চাপের মুখে পড়েছে, তখনই পশ্চিমবঙ্গ ‘একলা চলোর’ প্রকৃত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলা সব রকমের আক্রমণে মুখোমুখি হয়েও বাঙালির গর্বের পক্ষে সায় দিয়েছে। প্রাদেশিক গর্ব কী ভাবে রক্ষা করতে হয় তার উদাহরণ দিয়েছে বাংলা।”

আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ শুরু করছে রাজ্য, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন বক্তব্যকে শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক মন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করলে ভুল হবে, এমনটা মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এর পিছনে সুচিন্তিত ভাবে বিরোধী শক্তিকে একজোট করা একটা বড় চেষ্টা থাকতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষ করে সপ্তাহখানেক আগে যেভাবে প্রশান্ত কিশোর এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন, তারপর এই মন্তব্য আসা অনেকাংশে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। যেভাবে আগামী লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই বিরোধী দলগুলি প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই সময় এই মন্তব্যের রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম।

আরও পড়ুন: প্রয়াত গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

Next Article