নয়া দিল্লি: জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই কথা ঘোষণা করা হল। তবে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসই নয়, জাতীয় দলের তকমা গেল শরদ পওয়ারের এনসিপি এবং সিপিআই দলেরও। আর নতুন করে জাতীয় দলের তকমা পেল অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি। নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে চার বা তার বেশি রাজ্যে রাজ্যের দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হবে। অথবা লোকসভা নির্বাচনে অন্তত তিনটি রাজ্য থেকে ২ শতাংশ আসন পেতে হয়। অর্থাৎ, এদিনের পর যদি আসন্ন কর্নাটক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেয় তৃমমূল কংগ্রেস, তাহলে সেই রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক, জোড়া ফুল ছাড়াই লড়তে হবে।
তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি এবং সিপিআই জাতীয় দলের মর্যাদা হরানোয়, বর্তমানে ভারতের জাতীয় দলের সংখ্যা দাঁড়ালো ছয় – কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিআইএম, বহুজন সমাজ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এবং আম আদমি পার্টি। আম আদমি পার্টি এদিনই সর্বভারতীয় দলের মর্যাদা পেল। নির্বাচন কমিশন এদিন উত্তর প্রদেশে আরএলডি, অন্ধ্রপ্রদেশে বিআরএস, মণিপুরে পিডিএ, পুদুচেরিতে পিএমকে, পশ্চিমবঙ্গে আরএসপি এবং মিজোরামে এমপিসি-র রাজ্য দলের মর্যাদাও প্রত্যাহার করেছে।
২০১২ সালে অরবিন্দ কেজরীবালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টির পথ চলা শুরু হয়েছিল। আন্না হাজারের নেতৃত্বাধীন দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন থেকে জন্ম হয়েছিল ভারতের এই রাজনৈতিক দলটির। সোমবার তারা জাতীয় দলের মর্যাদা পেল। বর্তমানে তারা দিল্লি ও পঞ্জাব – দুই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দিল্লি-পঞ্জাবের পাশাপাশি গোয়া, পঞ্জাব এবং গুজরাটের নির্বাচনী পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে জাতীয় দলের মর্যাদা পেল আপ। অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছেন, এই মর্যাদা একটা ‘বড় দায়িত্ব’। এই ঘটনাকে তিনি অলৌকিক ঘটনা বলেও উল্লেখ করেছেন। হিন্দিতে টুইট করে বলেছেন, “এত অল্প সময়ে জাতীয় দল? এটা অলৌকিকতার থেকে কম কিছু নয়। সবাইকে অনেক অভিনন্দন। দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের এখানে নিয়ে এসেছেন। মানুষ আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে। আজ মানুষ আমাদের এই বিশাল দায়িত্ব দিয়েছে। হে প্রভু, আশীর্বাদ করুন যাতে আমারা এই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারি।”