লখনউ: বোনকে খুন (Murder) করে সেকথা নিজে মুখেই স্বীকার করলেন ভাই। “ওই ছেলেটির সঙ্গে ওর মেলামেশা আমার ভাল লাগত না। ওর ওকে ভালবাসা উচিত হয়নি। সেই কারণেই আমি ওর ওড়না দিয়ে ওকেই ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলেছি।” কতকটা এরকমই ছিল স্বীকারোক্তি। নিজের বোনকে এইভাবে খুন করে সেই ঘটনার কথা এইভাবে বীরদর্পে বলার সময় গলা কাঁপেনি ভাইয়ের! এই অকপট স্বীকারোক্তি এখানেই শেষ নয়। শুধু নিজের বোনকে খুনই করেনি সে। দৈনিক ভাস্করের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাড়ির রান্নাঘরে বোনের নিথর দেহ পুঁতেও দিয়েছে সে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Police)।
পাঁচ বছর আগেই বাবা-মা মারা গিয়েছেন। তারপর একই বাড়িতে থাকে দুই ভাই-বোন। নিজের নিজেদের মতো করো উপার্জন করে দিনযাপন করে। স্থানীয়দের কথা অনুযায়ী, শিবানীর স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। আর এই সম্পর্ক নিয়ে শিবানীর বাড়িতে প্রায় প্রতিদিনই ঝামেলা চলত বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সেদিন ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শিবানী। আর তারপরেই ফের বাড়িতে এই নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। প্রথমে কাটাকাটি তারপর তা খুনোখুনি কাণ্ড অবধি গড়ায়। দু’জনের মধ্যে বাক্য বিনিময় খানিকটা উত্তপ্ত হতেই হিমাংশু শিবানীর ওড়না দিয়েই শ্বাসরোধ করে ওকে খুন করে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন পান তাঁরা। ফোনের ওপার থেকে জানানো হয়, এলাকায় একটি খুন হয়েছে। পুলিশ খুব সন্তর্পণে পাড়ায় ঢুকলে তাঁরা মৃতের দেহ উদ্ধার করতে পারে বলেও জানানো হয়। পরিবার সম্মান রক্ষার্থে এই খুন হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে খুনির নাম তিনি জানাননি, বলেছে পুলিশ।
এই ফোন পাওয়ার পরই পুলিশের একটি দল গ্রামে পৌঁছায়। সেই সময় বাড়িতেই ছিল হিমাংশু। বাড়িতে পুলিশ দেখে কিছুটা চমকেই যায় সে। শিবানীর বিষয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, এক বন্ধুর বাড়ি গিয়েছে সে। পরে পুলিশ আরেকটু কড়া হতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য়ি। হিমাংশু জানায়, শিবানীকে মেরে রান্নাঘরের মেঝের নীচে পুঁতে দিয়েছে সে। তার এই অকপট স্বীকারোক্তির পরই হিমাংশুকে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে শিবানীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রমাণের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।