AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mangalyaan: নিঃশব্দে বিদায় নিল ‘মম’, প্রত্যাশা ছাপিয়ে শেষ ভারতের প্রথম মঙ্গল অভিযান

Mangalyaan: রবিবার (২ অক্টোবর), যাত্রা শুরুর প্রায় এক দশক পর, অবশেষে শেষ হল মঙ্গল গ্রহে ভারতের প্রথম অভিযান। মঙ্গলযান বা 'মার্স অরবিটার মিশন' বা সংক্ষেপে 'মম'-এর প্রপেলান্ট বা জ্বালানি ফুরিয়ে গিয়েছে।

Mangalyaan: নিঃশব্দে বিদায় নিল 'মম', প্রত্যাশা ছাপিয়ে শেষ ভারতের প্রথম মঙ্গল অভিযান
বিদায় নিল মঙ্গলযান
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2022 | 6:58 PM
Share

বেঙ্গালুরু: নিঃশব্দে বিদায় জানাল মঙ্গলযান। রবিবার (২ অক্টোবর), যাত্রা শুরুর প্রায় এক দশক পর, অবশেষে শেষ হল মঙ্গল গ্রহে ভারতের প্রথম অভিযান। ‘মার্স অরবিটার মিশন’ বা সংক্ষেপে ‘মম’ (MOM)-এর প্রপেলান্ট বা জ্বালানি ফুরিয়ে গিয়েছে। লাল গ্রহের কক্ষপথে তার ব্যাটারিকে আর জাগিয়ে তোলা যাচ্ছে না। তাই মনে করা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত মহাকাশযানটির যাত্রা শেষ হয়েছে। এই বিষয়ে অবশ্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বা ইসরোর পক্ষ থেকে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। কাজেই, লাল গ্রহকে প্রদক্ষিণকারী মহাকাশযানটিকে ফের বাঁচিয়ে তোলা যাবে কি না সেই বিষয়ে জল্পনা থেকেই গিয়েছে।

তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ইসরোর এক সূত্র জানিয়েছে ভারতীয় মঙ্গলযানটিতে আর কোনও জ্বালানি অবশিষ্ট নেই। স্যাটেলাইটের ব্যাটারি শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকি ইসরোর সঙ্গে মহাকাশযানটির সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে ওই সূত্র। তাকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, “সম্প্রতি একের পর এক গ্রহণ হয়েছে। সাত থেকে সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরেল চলেছে একেকটি গ্রহণ। এদিকে, স্যাটেলাইটের ব্যাটারিটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছিল, যাতে সেটি এক ঘন্টা চল্লিশ মিনিট পর্যন্ত চলা গ্রহণ সহ্য করতে পারে। সেই সময়কাল পেরিয়ে যাওয়াতে ব্যাটারির সব শক্তি ফুরিয়ে গিয়েছে।”

যাত্রা শুরুর সেই দিন

তবে, মহাকাশযানটি মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথের মাত্র ছয় মাস ধরে চলার জন্য নকশা করা হয়েছিল। সেই জায়গায় এটি আট বছরেরও বেশি সময় ধরে তার কাজ করে গিয়েছে। ২০১৩ সালে মঙ্গলযানটিকে একটি পিএসএলভি-সি২৫ রকেটের মাধ্যমে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। এটিই ছিল ভারতের প্রথম আন্তঃগ্রহের মহাকাশ অভিযান। এটা অবশ্য বলা যেতে পারে ইসরোর ক্ষমতার প্রদর্শন ছিল। ভারতও যে অন্যগ্রহে অভিযান করতে পারে,সেটা বাকি বিশ্বকে দেখানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

যাত্রার আগে পৃথিবীর বুকে মঙ্গলযান

এই অভিযানে মাত্র ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এটিই এখনও পর্যন্ত হওয়া সবথেকে সাশ্রয়ী মঙ্গল অভিযান। মহাকাশযানটি পাঁচটি যন্ত্র ছিল – মার্স কালার ক্যামেরা, থার্মাল ইনফ্রারেড ইমেজিং স্পেকট্রোমিটার, মিথেন সেন্সর ফর মার্স, মার্স এক্সোস্ফেরিক নিউট্রাল কম্পোজিশন অ্যানালাইজার এবং লাইম্যান আলফা ফটোমিটার।

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে আরেকটি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। ২০২১ সালে ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে সিভান জানিয়েছিলেন, চন্দ্রযান-৩ অভিযানের পরই ভারত মঙ্গলযান-২ অভিযান করবে।