Manipur Mass Burial: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুরোধে পিছিয়ে গেল মণিপুরে গণকবরের পরিকল্পনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Aug 03, 2023 | 1:58 PM

মণিপুরের হিংসায় মৃত বহুজনের দেহ এখনও পড়ে রয়েছে মর্গে। সেই দেহ চুরাছন্দপুর জেলার হাওলাই খোপি এলাকায় গণকবর দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই জমিকে কবরস্থান হিসাবে বৈধতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

Manipur Mass Burial: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুরোধে পিছিয়ে গেল মণিপুরে গণকবরের পরিকল্পনা

Follow Us

ইম্ফল: মণিপুরের হিংসার পরিস্থিতির মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনায় বসল আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। এর পরই মণিপুরে গণকবর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। গণকবরের জন্য ইতিমধ্যেই মণিপুরের চুরাছন্দপুর এবং বিষ্ণুপুর এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার ফোরাম (আইটিএলএফ)-এর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “গত কাল আমরা ম্যারাথন বৈঠক করেছি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গণকবর দিন পাঁচেক পিছিয়ে দিতে বলেছে। আমরা তাতে সহমত হয়েছি। তবে আমরা যে জমিতে গণকবর দিতে চাই, তা সরকারকে মেনে নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। ওই জমিতে কবরের জন্য বৈধ ঘোষণা করতে বলেছি।”

গণ কবরের বিষয়টি নিয়ে আইটিএলএফ-এর এক মুখপাত্র গিনজা ভলজং বলেছেন, “আমরা পাঁচটি দাবি জানিয়েছি। কবরস্থানের বৈধতা। কুকি-জো গোষ্ঠীর নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশের মেইতেই সদস্যদের পার্বত্য জেলায় রাখা যাবে না। যেতেহু কবর দিতে দেরি হচ্ছে, তাই ইম্ফলে থাকা মৃত কুকিদের দেহ চুরাছন্দপুরে আনতে হবে। মণিপুর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ইম্ফলে থাকা কুকি জেলবন্দিদের অন্যত্র সরিয়ে দিতে হবে।”

জানা গিয়েছে, মণিপুরের হিংসায় মৃত বহুজনের দেহ এখনও পড়ে রয়েছে মর্গে। সেই দেহ চুরাছন্দপুর জেলার হাওলাই খোপি এলাকায় গণকবর দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই জমিকে কবরস্থান হিসাবে বৈধতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এই গণকবরের জন্য কুকি সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষের জমায়েত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সে জন্য সেখানে বড় সংখ্যায় নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও গণকবরের বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে মেইতেইদের সংগঠন। তাদের দাবি, মৃতদের গ্রামেই তাঁদের কবর দেওয়া হোক। গণকবরের বিষয়টি নিয়ে আগামী দিনে কী পরিস্থিতি দাঁড়ায় মণিপুরে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক কতটা সফল হয়, সেদিকে এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।

Next Article